ইট-কাঠ-পাথরের ব্যস্ত নগরী ঢাকা শহরে হঠাৎ একটি খুন। ডাক পড়লো সিআইডির ডাকসাইটে কর্মকর্তা শফির। তদন্ত কাজ শুরু হতে না হতেই নির্দিষ্ট নিয়মে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটতে লাগলো। প্রত্যেককে নির্মম নির্যাতনের পর অত্যন্ত পৈশাচিক উপায়ে হত্যা করা হতে লাগলো। লাশের ভয়াবহতা দেখে শিউরে উঠে তদন্ত কর্মকর্তা। একটা খুনের সাথে আরেকটা খুনের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। এই জটিল রহস্য খুঁজে বের করতে গিয়ে সকলের গলদঘর্ম অবস্থা! কিছুতেই রহস্যের কোনো কূল-কিনারা মিলছে না। একের পর এক খুন হয়ে যাচ্ছে। দেশে প্রথমবারের মত সিরিয়াল কিলিং হচ্ছে। প্রত্যেকটি লাশকে দেখে শিউরে উঠছে সবাই। ঘটনাক্রমে এর সাথে দানিয়াল নামক একজন ওসি জড়িয়ে যায়। জটিল রহস্য ভেদ করে যাচ্ছে দানিয়াল যা ক্রমে ফাটল জন্ম দেয় শফী আর দানিয়ালের মধ্যে। খুনি তাদের এই বিয়োজনের সু্যোগ নিয়ে একের পর এক হত্যা করে যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে বুঝতে পারে নিছক কোন হত্যাকাণ্ড নয়। এর সাথে জড়িয়ে আছে বড় রহস্য। যার মায়াজালে জড়িয়ে পড়ে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সবাই। রহস্যের সূত্র ধরতে না পেরে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই তরতর করে চড়তে থাকে। কে করছে এত খুন? সে কি মানুষ না ধোঁয়াশা? লাশের মিছিল শেষ কখন? উত্তর পাওয়া এখনো বাকী। উত্তেজনায় ঠাসা এই রহস্যময় যাত্রায় অন্ধকার জগতে আপনাকে স্বাগতম, প্রিয় পাঠক! আর ডার্ক সাইকোলজিক্যাল ফিকশনের সাথে না পরিচিত না হয়ে থাকলে নতুন এই জনরার বই নিঃসন্দেহে এক ভিন্নতার ছোঁয়া পাবেন গোয়েন্দা কাহিনীপ্রেমী পাঠকেরা। “welcome to the dark world”
এম.জে. বাবুর জন্ম ব্রাক্ষণবাড়িয়াতে। কোনো কৃতিত্ব ছাড়া স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি সম্পূর্ণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ করছেন। প্রথম বই দিমেন্তিয়া প্রকাশ পায় ২০২০ সালে। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অ্যাবসেন্টিয়া, পিনবল, ভ্রম, ইনসেন্টিয়া দিয়ে পাঠকের মন জয় করলেও, জিন দিয়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। কাজ করছেন থ্রিলার ও সমকালীন জঁরা নিয়ে।