বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, মুক্তির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র জীবন থেকেই শহর-বন্দর-গ্রামে, এক প্রাপ্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটেছেন। পরিবারের নিবিড় বন্ধন, “গোয়েন্দাদের সার্বক্ষণিক কড়া নজরদারি, বন্দি জীবন-কোনো কিছুই তাকে নিবৃত্ত রাখতে পারেনি। তিনি বারবার কর্মীদের কাছে গিয়েছেন এবং তাদের নিয়ে শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সব মানুষের কাছে পৌছেছেন। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে কম স্থানই রায়েছে, যেখানে তাঁর পদচিহ্ন পড়েনি।” যেখানে জাগরণের গান শোনাননি। অখন্ড পাকিস্তানের অস্তিত্বেও দুই যুগের অর্ধেকটা কেটেছে তাঁর জেলে, বাকীটা কবলই বাংলার পথে-প্রান্তরে। আর কোন নেতা এ পথ বেছে নেননি। তিনি কোথায় গিয়েছেন এবং কখন কী বলেছেন সে সবই তুলে আনা হয়েছে এ গ্রন্থে। এ সব জানার জন্য সহায়তা নেওয়া হয়েছে Secret Documents of Intelligence Branch (IB) on Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman শিরোনামে যে সাত খণ্ড গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, প্রধানত সে গুলো থেকে। বাংলাদেশ প্রেস ইসস্টিটিউট প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক কয়েকটি গ্রন্থ এবং বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থও তথ্যের উৎস।
সত্তর দশকে ছড়া লিখে খ্যাতিমান। বাংলাদেশের ছড়া সাহিত্যের অনিবার্য নাম তিনি। অতঃপর আশির দশকে কবিতায় মনযােগী। ১৯৮৪ সালে জিতে নেন কবিতায় জাতীয় পুরষ্কার। লিটলম্যাগ থেকে জাতীয় দৈনিকে কবিতা লিখতে লিখতে ঝুঁকে পড়েন চলমান লেখালেখিতে। মূলত এরশাদ পরবর্তী সময়ে খুলে যাওয়া মিডিয়া ও সংবাদপত্রের সুবর্ণ সময়ে কলাম লিখিয়ে হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এখন তার কলাম বাংলাদেশের মিডিয়ায় অপরিহার্য ও জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিবাসন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করলেও প্রায় প্রতিদিনই তার উপস্থিতি থাকে জাতীয় মিডিয়ায়। চলমান লেখালেখির জগতে সচল নামটি সামাজিক মিডিয়ায়ও তুমুল জনপ্রিয়। কবিতা, গদ্য বিশেষত গুণী বাঙালিদের স্মরণ করা স্মৃতিগদ্যে ইতােমধ্যে তিনি তার জায়গা করে নিয়েছেন। আলসেমী আর অনীহাজনিত কারণে তার গ্রন্থ সংখ্যা সীমিত। লেখকের মতে এ ব্যাপারে তিনি ওয়াহিদুল হক, আবুল হাসান কিংবা হেলাল হাফিজ অনুগামী। এবারের বই মেলায় প্রকাশিত এটিই তার একক কবিতার বই।। অজয় দাশগুপ্তের কবিতা পাঠকপ্রিয় এ কথা বলাই বাহুল্য।