না এটা কোনো সফলতা বা ব্যর্থতার গল্প নয়। টাকা কামানোর কোনো কলাকৌশল নেই এই বইতে। এমন কোনো ফর্মূলা দেয়া হয়নি। যাতে রাতারাতি সফল উদ্যোক্তা হওয়া যাবে। এখানে শুধু প্রস্তুতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। সরকারি দুটো দপ্তরের সাথে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে। পেশাদার না হলেও একটি উদ্যোগ ও বেশকিছু প্রকল্প পরিচালনার ঝুলি আছে। তা সত্বেও আমার ভাবনাগুলো ঠিক আছে কিনা সেটা জানতে আমি অন্তত ২০ জনকে এই বইয়ের পাণ্ডুলিপি দেখিয়েছি এবং প্রকাশকের ব্যাপক আগ্রহ থাকা সত্বেও এই বইটি প্রকাশ করার জন্য প্রায় ৩ বছর সময় নিয়েছি। আমি নিজে সফল বা পেশাদার উদ্যোক্তা নই। তবে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা হাজারো উদ্যোক্তার সাথে কাজ করি। তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখি। আবার নতুনদের পরামর্শ দেই। হাজার হাজার তরুণ উদ্যোক্তাদের সাথে মিশে তাদের কথা শুনে এটা বুঝতে পেরেছি। তরুণদের বিশাল অংশের একেবারে বেসিক বা মৌলিক ধারণাও নেই। কিন্তু তাদের স্বপ্ন আছে, উদ্যম আছে, আছে লেগে থাকার প্রেরণা। তাদের জন্য প্রস্তুতির বিষয়গুলো একটু ধরিয়ে দিলে তাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত। আমি কেবল সেই কাজটাই এই বইতে করেছি।
অস্টম শ্রেণী ছাত্র থাকা অবস্থায় তার লেখা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি লেখালেখি, বিতর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহু পুরষ্কার পেয়ে আসছেন। দেশের প্রায় সব পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথমে রম্য লিখলেও পরে তিনি জীবনমুখী লেখনীতে মনোনিবেশ করেন। এযাবত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে তার হাজারের বেশী লেখা রয়েছে। এগুলো আত্মগঠন, ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন ও লোকসাহিত্য নিয়ে। বিষয় বস্তুর নির্বাচন ও নিজস্ব বর্ণনাভঙ্গি তাকে ‘‘জীবনমুখী লেখক’’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। মজা করে লিখতে পারেন বলে তার লেখা পাঠক শুরু থেকে শেষ অবধি পাঠ করেন। তার লেখায় থাকে গল্পময়তার ছাপ। বাংলাভাষায় কর্মাশিয়াল কনটেন্ট লেখনিতে তিনি একজন পথিকৃত। অনলাইনে তার ই-কমার্স ও আত্ম উন্নয়নমুলক লেখাসমূহ পাঠকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তার সরব উপস্থিতি। ২০১৬ সালে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণ করেন। ৪৬ দিনে ১১৭৬ কিলোমিটারের এই পদযাত্রা নিয়ে রচনা করেন অন্যরকম ভ্রমণকাহিনী ‘‘দেখব বাংলাদেশ গড় বাংলাদেশ’’। ২০১৭ সালে তিনি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর বিবেচনায় দেশের ৪০ জন প্রশংসিত ব্যক্তির একজন নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে দেশের প্রথম ই-কমার্স সামিটে তিনি দেশ সেরা ই-কমার্স কনটেন্ট রাইটার পুরষ্কার জিতেন।
বাংলাদেশের বাস্তব প্রেক্ষাপটে লেখা তার আত্ম -উন্নয়নমূলক লেখনী তরুনদের উপলব্দির জায়গায় স্পর্শ করে। তার বিভিন্ন লেখায় অনলাইনে পাঠকের উচ্চসিত মতামত সেকথাই বলে।
একসময় রাখালী নামে একটি লোকসাহিত্যের ছোট কাগজ সম্পাদনা করতেন। লেখাপড়া করেছেন ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের জন্ম ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলায় মামাবাড়িতে। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। এখানেই কাটান শৈশব কৈশর। বর্তমান স্থায়ী নিবার ফেনী জেলায় হলেও কিন্তু কর্মসূত্রে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। জাহাঙ্গীর আলম শোভনের বাবা একজন অসবরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরে আর মা গৃহিনী।