সিন্ধু সভ্যতা মানেই এক রহস্যময়, আলো-আঁধারি আবৃত অতীত। একশ বছর ধরে খনন করে উদ্ধার করে ফেলেছি এর কত নগর, গ্রাম – আমরা দেখে ফেলেছি তাঁদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, ঘরদোর অথচ তা-ও কত অজানা এই সভ্যতা। লিপির মতোই সিন্ধু সভ্যতার ধর্মও এক প্রহেলিকা। কিছু প্রত্নক্ষেত্রে আবিষ্কার হয়েছিল অগ্নিকুণ্ড আর তারপর থেকেই তাঁরা বৈদিক ঋষিদের পূর্বসূরি ছিলেন কিনা তাই নিয়ে তর্ক চলছে। লেখক সিন্ধু সভ্যতার প্রত্যেকটি প্রত্নক্ষেত্র অনুযায়ী অগ্নিকুণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন এবং সেগুলির সঙ্গে বৈদিক যজ্ঞবেদিগুলির তুলনা করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ যজ্ঞগুলির একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা আছে বইতে আর তার সঙ্গে বিবরণ দেওয়া আছে যজ্ঞের ইটের, পাত্রের, বলি সমেত আহুতির বস্তুর। শেষে প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ দিয়ে হরপ্পার অগ্নি উপাসনার রহস্যভেদ করার প্রয়াস করেছেন লেখক। সিন্ধু সভ্যতার ধর্মের অগ্নি উপাসনা নিয়ে এই গবেষণাধর্মী বই পড়তে পড়তে মানস ভ্রমণ করতে পারবেন ভারতেতিহাসের প্রাচীনতম মানববসতির অলিগলিতে। Students will be enriched with his collections - The Statesman গবেষকরাও উপকৃত হবেন - আনন্দবাজার পত্রিকা গ্রন্থ নির্ভর শখের ইতিহাস চর্চা নয়, ভালোবাসেন হাতে কলমে কাজ - সংবাদ প্রতিদিন তাঁর উদ্যোগে গবেষকরাও উপকৃত হবেন - আজকাল । সম্পূর্ণ গবেষণাধর্মী এই বই হরপ্পার অগ্নি উপাসনার মতো এক বিরল বিষয় নিয়ে। পুরদস্তুর প্রত্নতত্ত্বের বিষয় হলেও বইতে সমগ্র বিষয় একদম সকলের বোঝার মতো করে উপস্থাপিত করা হয়েছে। অজস্র ছবি, সারণী, ডায়াগ্রাম পাতায় পাতায় দেওয়া আছে যাতে বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হয়।