ফিটো অলৌকিক এক যন্ত্র। দেখতে ঠিক পাখির মত। এই ফিটোয় চড়েই মেধাবী মেয়ে রিমি আর রাজুর যাত্রা হয় শুরু। অজানা দেশের উদ্দেশে। সে এক অভিনব ও দুঃসাহসী অভিযান। ওরা একের পর এক মুখোমুখি হয় অবাক করা সব ঘটনার। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতায় আপ্লুত হয় ওরা। ফিটো ওদের নিয়ে যায় বরফ ঢাকা পর্বতের দেশে। দেখা পায় জ্ঞান ও সৌন্ধর্যের দেবী কুমারী মিনার্ভার। মিনার্ভা বন্ধু হয়ে যায় ওদের। গ্রীক পুরণের এই দেবী ওদের নিয়ে যায় তাই গ্রীস অববাহিকায়। আদিম মানুষদের মাঝে। সেখান থেকে সোজা অলিম্পাস পাহাড়-চূড়ায় দেব-প্রসাদে। ওদের স্বাগত জানায় অপরূপা কুমারী আফ্রোদিতি। তারা রিমি আর রাজুকে নিয়ে যায় দেবরাজ জুপিটারের মহলে--জলসা ঘরে। এই অভাবিত অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পদে পদে শিহরণ, বিস্ময় আর আনন্দে ঠাসা। চমকপ্রদ এই দেবলোক যাত্রায় গ্রীক পুরাণের দেবদেবীর অনেক কিছু জানা হয়ে যায় রাজু ও রিমির। কথাশিল্পী ফাইজুস সালেহীন রিমি-রাজুর এই অনন্য অভিযানের পুরো কাহিনী বলেছেন তোমাদের জন্য। তার ভাষা সাবলীল, বলার ঢঙ চমৎকার এবং গল্পের বুনট কুশলী। এক সময় দেখবে তোমরাও এই অসাধারণ অভিযানের রিমি-রাজুর সঙ্গী হয়ে গেছো। গ্রীক দেবদেবীদের রোমাঞ্চকর সহচর্য পেতে হলে তোমাদের পড়তেই হবে এই অভিনব বই।
অলৌকিক বাহন ফিটোয় চড়ে রিমি আর রাজু হঠাৎ চলে যায় অজানা এক রহস্যপুরীতে। সেখানে দেখা পায় জ্ঞান ও সৌন্দর্যের দেবী মিনার্ভার। মিনার্ভা বন্ধু হয়ে যায় ওদের। গ্রিক পুরাণের এই দেবী ওদের নিয়ে যান আদিম মানুষের জগতে। সেখান থেকে সােজা অলিম্পাস পাহাড়চূড়ায়, | দেবালয়ে। ওদের স্বাগত জানান অপরূপা ভিনাস। এর পরই শুরু হয় এক অভাবিত রােমাঞ্চকর অভিযান। সেই অভিযানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পদে পদে শিহরণ, বিস্ময় আর আনন্দ। কথাশিল্পী ফাইজুস সালেহীন খুব দরদ দিয়ে লিখেছেন মজার এই বই। পেশায় সাংবাদিক এই লেখকের জন্ম ১৯৫৭ সালে, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে। তিনি ছােটদের জন্য যেমন লেখেন দারুণ মজার লেখা, তেমনি হাতযশ তার ছােটগল্প ও উপন্যাসে। প্রবন্ধও লেখেন সমানতালে। সাতার, সকোর পরে সবুজ গ্রাম, বাঁশি বাজে পরী নাচে, সময়ের কাঠগড়া, বিরহ বিজয়, দখিনের জানালা, রক্তেভেজা ভালবাসা প্রভৃতি তার উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ।