বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উৎকর্ষ ব্যতীত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব নয়। দুই শতাব্দীর ব্যবধানে সংঘটিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লব মানবসভ্যতার ইতিহাসে যুগান্তর এনেছে। একবিংশ শতাব্দীতে আমরা মুখোমুখি হয়েছি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারাবিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন, যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, রোবটিক্স, জৈব প্রযুক্তি ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর মতো বিষয়গুলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সূচনা করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী করে নিজেদেরকে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। কুমিল্লার শিক্ষানুরাগী জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধারণাটিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কুমিল্লা জেলায় প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তাঁর এ উদ্যোগে কুমিল্লার অগণিত শিক্ষার্থী চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। কুমিল্লার প্রত্যেকটি উপজেলায় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত কর্মশালা ও সেমিনার কুমিল্লাবাসীর মধ্যে বিপুল সাড়া জাগিয়েছে। কুমিল্লার পরিপ্রেক্ষিত থেকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রাকে অনবদ্য ভঙ্গিতে এই বইয়ে উপস্থাপন করেছেন মোহাম্মদ কামরুল হাসান। লেখকের নিজের কথার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অভিব্যক্তি ও প্রাসঙ্গিক আলোকচিত্র বইটিকে হৃদয়গ্রাহী করেছে। একটি নির্দিষ্ট জেলার প্রেক্ষাপটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতিকে তুলে ধরার প্রয়াস এটিই প্রথম। বইটি বিজ্ঞানমনস্ক ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।