শব্দার্থে তাফসীরুল কুরআন একাদশ খন্ড( সূরা ইয়াসীন থেকে সূরা হা-মি-সাজদা ) বিশ্ব জুড়ে মানবতা আজ লাঞ্জিত,পদলিত । জীবনযন্ত্রণায় কাতারচ্ছে মানবগোষ্ঠী । জীবনের প্রতিটি পদে পদে চলছে নৈরাজ্য ,কলুষতা,অরাজকতা,ওবিশৃঙ্খলা । ধস নেমেছে মনুষ্যত্বের । গোটা বিশ্বজুুড়ে চলছে আজ রাজনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক,যুলুম,অনাচার,নির্যাতন-নিপীড়ন,অর্থনৈতিক শোষণ বঞ্চনা,সাংস্কৃতিক গোলামি ও বেহায়াপনা,নৈতিক অবক্ষয়ের স্রোতধারা,আহত,বঞ্চিত ওনিপীড়ত কোটি কোটি বনী আদমের মানবিক অধিকার অশান্তির দাবানলে পুড়ছে ব্যক্তি,পরিবার,সমাজ,রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গন । প্র্রশ্ন হচ্ছে কোথায় লুকিয়ে আছে মানবতার মুক্তির সঠিক পথ? কোথায় গেলে খুঁজে পাবে এ মুক্তিকামী মানবগোষ্ঠী শান্তির ঠিকানা?কোনো মানবমস্তিস্ক কী দিতে পারবে একটি সর্বজনস্বীকৃত নির্ভুল জীবন বিধান ?কোনো মহান পন্ডিত,দার্শনিক,রাজনৈতিক নেতা,বৈজ্ঞানিক,অথবা কোনো মানবপ্রেমিক কি পারবে সেজন্য চেষ্টা করে সফল হতে?এ সকল প্রশ্নের সুস্পষ্ট একটি জবাব হচ্ছে না । কারন,মানববিজ্ঞান ও মস্তিস্কপ্রসূত কল্পনায় আছে সীমাবদ্ধতা । সে আসলে সামনে দেখে,পেছনে দেখে না । তিন হাত ফাঁক দিয়ে সমান্তরালভাবে চলে যাওয়ার রেল লাইনেকে সে দেখে কিছু দূর গিয়ে একত্রে মিলে গেছে । মাথার উপরে তাকিয়ে সে মহাশূন্য বড়কেও দেখে না । বেশি নিকটেও দেখে না । বেশি দূরেও দেখে না ।আজকের সবকিছু সে জানে না,গতকালে অনেক কিছু সে ভুলে যায়,বলতে পারেন না আগামীকালের কোনো কিছু । এমন কোটি কোটি পন্ডিত একত্রে মিলেও মানুষের অনাগত কালের সমাধান তো দূরের কথা বর্তমানেরও সর্বজন সঠিক ও নির্ভুল কিছুদিন পর ভ্রান্ত বলে প্রমানিত হয়ে যায় । কিন্তু পৃথিবীর সকল বিষয় মহাগ্রন্থ আল কুরআন সুস্পষ্ট সমাধান রয়েছে । এ কুরআন আরবি ভাষায় নাযিল হয়েছে । সুতরাং এর অর্থ-ব্যাখা বুঝে অধ্যয়ন করা আমাদের এ সমাজের খুব কমসংখ্যাক মানুষের পক্ষে সম্ভব । তাদের জন্য আমাদের প্রকাশিত শব্দার্থে তাফসীরুল কুরআন । বইটিতে রয়েছে ……… # সূরা নামকরণ, # নাযিলের সময়, # শাব্দিক অনুবাদ # সরল অনুবাদ # আয়াতের ব্যাখা, # আলোচ্য বিষয় ও # শানে নুযুল