যে জীবন আনন্দের, যুদ্ধের, জয়ের তাতেও নেমে আসে হঠাৎ করুণার মেঘ। নিজের কাছে কুণ্ঠিত হয়ে পড়ে মানুষ। হারিয়ে যায় স্বপ্ন, চাওয়া-পাওয়া, দূরের ভাবনা। তাই ডুবে ডুবে ভেসে থাকে কোনো কোনো মানুষ। লজ্জা, হতাশা কিবা নিয়তির কাছে অসহায়তাই যদি বলি, কোথায় আছে তা থেকে উদ্ধারের উপায়? তাই তো কখনও পাগলপারা শরীরের ভিতর এক নদী, অস্থির শরীরের ভিতর লুকানো এক বোধ প্রতিদিন তাড়া করে। সে লুকায়, সে নেমে পড়ে, সে হাসে, সে প্রতিশোধ নেয়; আবার কখনও জীবন থেকে পালায় । সত্যি কি এ পালানো? নাকি এক যুদ্ধের পরে আরও এক যুদ্ধের জন্য সৈনিকের বেশ? নহন্য আত্মার জয়-পরাজয়ের বিচার করার আমরাই বা কে? যখন মায়ের বুক থেকে ছিনিয়ে নেয় ছেলে; চামড়া ছিলে গোলাপি মাংসের তুফানে গা ভাসায় পাগল ঔপনিবেশিকের দল; মরণের মাঝ দিয়ে হয়ে ওঠে নহন্য সেই বীর। সেই নারীরই কী দোষ যে একা নিঃসঙ্গ সন্তান লালনপালন করতে করতে হারিয়েছে তার যৌবনের মাতাল সময়? অথবা যে নারী বা পুরুষের ধর্ম, সমাজ, দেশের সীমানার বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে শাশ্বত প্রেম? কী দোষ যার স্বামী নপুংসক কিবা প্রেমের সঙ্গী না হলে অবলীলায় ভাসে যে অন্য পুরুষের সাথে ভালোবাসার শেষ মার্গে? সমাজ, সংসার আর ধর্মের বিচারেই কি সব মহাপাপ আর পাপীর দল? না তার বাইরেও আছে অন্য এক জীবন, আছে আরেক যুদ্ধ। যে জীবন নহন্য, যে জীবন নহন্যিয়ার।