মানব সমাজে যারা অতি বিজ্ঞানপ্রিয় সেজে নিজেদেরকে প্রগতিবাদী ও প্রকৃত জ্ঞানী হিসেবে জাহির করেছিলেন এবং ধর্মকে ভ্রুকুটি করে অনন্ত আযাবময় অগ্নিদুর্গ 'জাহান্নামকে' অস্বীকার করেছিলেন, আজ বিজ্ঞান-ই তাদের বিরুদ্ধে অভিনব আবিষ্কারের মাধ্যমে তাদেরকে চরমভাবে হেস্ত-নেস্ত করে ছেড়েছে। এর একমাত্র কারণ হলো বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে তারা নিজেদের মনগড়া কথা সমাজে চালু করে বাহবা পেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রকৃত বিজ্ঞান তাদের ক্ষমা করেনি। আজকে বিজ্ঞানবিশ্ব মহাকাশে কল্পনাতীত ও ভয়ঙ্কর তে ক্রয়তা অগ্নিদুর্গ ‘কোয়াসার’ আবিষ্কার করে তার ছবি ও তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সমগ্র মানব জাতির দৃষ্টি আল্-কুরআনের দাবী অনুযায়ী প্রচণ্ড শাস্তিময় স্থান অগ্নিদুর্গ ‘জাহান্নাম’-এর দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। মানব সমাজ হতবাক হয়ে তা অবলোকন করে শিউরে উঠছে আর নিজের অজান্তেই বলছে ‘এও কি সম্ভব?' তাহলে ‘জাহান্নাম’ কি সত্যিই আছে? হে আল্লাহ্! তুমি এক মহাসত্য পবিত্র সত্তা, তোমার ‘কুরআন'ও সত্যগ্রন্থ, তোমার নবী-রাসূলগণও (সা) সত্য বাণীবাহক, পরকালও সম্পূর্ণরূপে সত্যজগৎ, আমি আত্মসমর্পণ করলাম তোমার শাহী দরবারে। আমাকে তুমি ক্ষমা কর, আমাকে তুমি মুক্তি দিও ঐ ‘জাহান্নাম’ থেকে পরকালে, হে প্রভু! আমীন!’