দ্য মুসলিম এন্ট্রাপ্রেনিউর জীবিকার খোঁজে রিযক সম্পদ গড়ার কৌশল বিলিয়ন ডলার মুসলিম
সাহাবী হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা.। মদীনার একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী। যিনি মক্কা থেকে মদীনায় এসেছিলেন নিতান্ত এক শরণার্থী হয়ে। অথচ এই শূন্য হাতে ব্যবসা করেও তিনি যে সম্পদ অর্জন করেছিলেন, আজকের হিসেবে তা ছিল শ্রেষ্ঠ ধনী বিল গেটসের চেয়েও প্রায় ৬ গুণ। জ্বি, ঠিক শুনেছেন। ২০১৭ সালের এক পরিসংখ্যান অনুসারে বিল গেটসের সমুদয় সম্পত্তির পরিমাণ ছিল যেখানে মাত্র ৮৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা. এর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল কিনা ৫০১ বিলিয়ন ডলার।
হ্যাঁ, ব্যবসা যখন হালাল হবে, আল্লাহ তখন এভাবেই আপনার সম্পদে প্রাচুর্য দান করবেন। আমাদের অনেকের ধারণা, ধন-সম্পদের প্রাচুর্য বুঝি ইসলাম সমর্থন করে না। ইসলাম বুঝি শুধু গরিব থাকতেই বলে। অথচ নবীজী স্বয়ং সাহাবি আমর ইবনুল আস রা.কে বলেছেন, ‘হালাল ধনসম্পদ অনেক উত্তম জিনিস এবং আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রা.-এর জন্য তো নবীজী স্বয়ং দোয়াই করেছেন যে, আল্লাহ যেন তাঁর সম্পদে বরকত দান করেন।
বক্ষ্যমাণ এই প্যাকেজটিতে রয়েছে এমন ৪০ জন মুসলিম উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকার, যারা তাদের আয়, প্রাচুর্য ও মৌলিকতার দিক থেকে অস্বাভাবিকরকম সাফল্য পেয়েছিলেন। আছে আরও এমন ৪৭ জনের ইন্টারভিউ, যাদের কেউ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত সফল ব্যবসায়ী, কেউ ব্যাংকার, আবার কেউবা ইসলামী অর্থনীতিবিদ ও শরিয়াহ বিশেষজ্ঞ।
সেইসাথে আছে, এতো এতো হারামের ভিড়ে আপনি হালাল উপার্জন কীভাবে করবেন এবং তার মাধ্যমে কী করে পৌঁছবেন প্রাচুর্যের চূড়ায়? মনে রাখতে হবে, আপনার রিযিক কিন্তু নির্ধারিত। তবে তা উপার্জনের দায়িত্ব আপনার। এই প্যাকেজটি আপনাকে দেখাবে, কী করে আপনি সেই নির্ধারিত রিযিকের মাধ্যমে প্রাচুর্য ও ধনাঢ্যতার নাগাল পাবেন।
হ্যাঁ পাঠক, আপনাকে হালাল উপায়ে ধনী হবার উত্তম পথ দেখাবে এই ৫টি বই।
গতানুগতিক ধারার বাইরে কাজ করা আত্মপ্রত্যয়ী একজন মানুষ—মিরাজ রহমান। মিডিয়ায় সক্রিয়ভাবে যখন কাজ শুরু করেছেন, তখন তিনি মাদানিনগর মাদরাসার শিক্ষার্থী। কন্ট্রিবিউটর হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন দৈনিক যুগান্তরে। কওমি শিক্ষাধারায় লেখাপড়া করার পাশাপাশি সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া ঢাকা থেকে দাখিল ও আলিম, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে অনার্স এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে তিনি এমফিল গবেষণায় নিরত আছেন। সহ-সম্পাদক হিসেবে প্রথম যোগদান করেন দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়। সেখান থেকে দৈনিক কালের কণ্ঠে। দেশে-বিদেশে অনলাইন গণমাধ্যমের জয়যাত্রা শুরু হলে ইন্টারনেট জগৎকে ইসলাম প্রচারের জন্য সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র বিবেচনা করে অনলাইনে মনোযোগী হন মিরাজ। দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইসলামবিষয়ক অনলাইন পোর্টাল প্রিয়.কমের ‘প্রিয় ইসলাম’-এর সৃষ্টি ও পথচলার সূচনা তারই হাতে।এরপর কাজ করেছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ফিচার ইনচার্জ হিসেবেও। টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও আলোচনার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন তিনি। এসো কলম মেরামত করি, ছোটদের নবি-রাসুল সিরিজ, তাবলিগ জামাতের পৃষ্ঠপোষক-মুরুব্বি ছিলেন যাঁরা, আশিক মিন ফিলিস্তিন, হালাল ব্যবসা ও হালাল অর্থনীতির কথকতা, দ্য কিংস অব দ্য কিংডম অব সৌদি আরাবিয়া, প্রোডাক্টিভ মুসলিম ও মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার তার রচিত ও অনূদিত সাড়া জাগানো গ্রন্থ। তার পিতার নাম মো. মোসলেম আলী। মাতার নাম পারুল বেগম। বরিশাল তার জন্ম শহল হলেও পড়াশুনা এবং বেড়ে ওঠা ইট-পাথরের শহরে ঢাকায়। আট ভাইয়ের সংসারে মিরাজ সর্বকনিষ্ট। তার স্ত্রীর নাম তাহমিনা আক্তার মুন্নি এবং মেয়ের নাম আমাতুর রহমান দোআ। বর্তমানে কাজ করছেন নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান অনলাইন ইসলামিক টিভি ইসলাম প্রতিদিন এবং প্রকাশনা সংস্থা সুলতানসের চেয়ারম্যান হিসেবে।