আল্লাহ তায়া’লা মানুষকে অনেক বেশি সম্মাননা দিয়েছেন। মানুষকে স্বীকৃতি দিয়েছেন আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে। আমরা এই পৃথিবীতে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মত হওয়ার সম্মানও লাভ করেছি। শেষ নবীর উম্মত হওয়া বিরাট ভাগ্যের বিষয়। আমাদের জন্য রোজ হাশরের দিনেও অনেক গুলো সুবিধা অপেক্ষা করছে। আমরা যদি পার্থিব জীবনে নেক আমল করে যেতে পারি,তাহলে রোজ হাশরের দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফায়াতও আমাদের নসীব হতে পারে। কিন্তু আমাদের আয়ু অনেক কম। আমাদের পাপের ভিন্নতা ও বহুমাত্রিকতা অতীতের অনেক জাতি থেকেই অনেক বেশি। কেননা তখন প্রযুক্তি এতটা অগ্রসর ছিল না। জীবন উপভোগ করার এতো সুযোগও বিদ্যমান ছিল না। আয়ু কম,অথচ পাপ করার স্কোপ অনেক বেশি। এটা আল্লাহর ফয়সালা হতে পারে না। কারণ তিনি রহমানুর রাহীম। তিনি তাঁর সেরা সৃষ্টি মানুষকে অত্যধিক ভালোবাসেন।আর এই উম্মতের জন্য তাঁর নেয়ামত ও সুযোগ সুবিধার মাত্রাও অনেক বেশি। আল্লাহ পাক দয়া করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মানে এই উম্মতকে বিরাট এ সৌভাগ্য দান করেছেন। আল্লাহ তায়া’লা এ উম্মতকে এমন কিছু দিন দিয়েছেন, এমন কিছু রাত দিয়েছেন, এমন কিছু মাস দিয়েছেন যা পূর্ববর্তী উম্মতকে দান করেননি।যেসব দিনে ও রাতে এবং মাসে ইবাদত করলে একজন ব্যক্তি হাজার বছরের ইবাদতকারীর চেয়ে বেশি সওয়াবের অধিকারী হয়ে যায়। উম্মতের মুহাম্মদীর বড়ো একটি প্রাপ্তি হলো, তারা ইবাদত করবে একদিন কিন্তু সওয়াব হবে সত্তর দিনের। ইবাদত করবে এক রাত,কিন্তু সওয়াব হবে হাজার রাতের। ইবাদত করবে এক মাস কিন্তু সওয়াব হবে সত্তর মাসের। এমন সব বরকতময় দিন-রাতের মহা সুযোগ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এ উম্মতকে দান করেছেন। বক্ষমান গ্রন্থটিতে আমাদের যাপিত জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝে ও অল্প সময়ে কি ধরনের আমল করে আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া যেতে পারে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।কারো কারো মনে হতে পারে যে,এতে শর্টকাট আমলের চিন্তা করা ঠিক হবে কিনা।এর দু'টো উত্তর আছে। প্রথমত, এগুলো কোনো মনগড়া কোনো আমল নয়।প্রতিটি আমলেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবন থেকে নেয়া,যেগুলো বইটিতে বিশুদ্ধ হাদিসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। আর দ্বিতীয় কথা হলো, আমল করতে যত স্বল্প সময়ই লাগুক না কেন, যদি প্রকৃতপক্ষে এ আমগুলো আমরা নিয়মিত অনুশীলন করতে পারি তাহলে গোটা দিনটিই রবের জিকির ও স্মরণের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করার একটি অবকাশ সৃষ্টি হয়। গুনাহের ফলে মানুষের দুনিয়ার জীবন বরবাদ হয়,রিজিকের পরিমাণ কমে যায়, আয়ু বৃদ্ধির পথও রুদ্ধ হয়ে যায়। স্বল্প এ জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগানোর এক অভিনব কৌশল নিয়ে অবতারণা হয়েছে বক্ষমান গ্রন্থটির।এ বইতে এমন কিছু আমলের কথা আলোচনা করা হয়েছে, যা পালন করা খুবই সহজ। আমলগুলো করতে সময়ও অনেক কম লাগবে।কিন্তু এর পুরস্কার অনেক বেশি। বইটি অল্প অল্প করে পড়েছি আর প্রভাবিত হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ! বইটির নামকরণের যথার্থ সার্থকতা রয়েছে। সত্যিই অল্প আমলে বেশি সওয়াব অর্জনের অভিনব কিছু কৌশল আমি আয়ত্ত করতে পেরেছি।আলহামদুলিল্লাহ! এই বইটি হাতে পাওয়ার পর থেকে সর্বক্ষণ আমার সাথে থাকে। প্রায় প্রতিদিন একটু হলেও বইটা পড়ি।ছোট্ট বইটি আমার এক বিশাল উপকার করেছে। কি উপকার সেটা আর বলবোনা।কারণ সেটা আমার গোপন আমলের অন্তর্ভুক্ত- তাই সিক্রেটই থাকুক। আপনারাও বইটি একবার পড়ে দেখুন। সব মিলিয়ে বেশ সুন্দর!
পেশায় সাংবাদিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সক্রিয়। ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স করে ভর্তি হয়েছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে মার্স্টাস সম্পন্ন করেছেন কৃতিত্বের সাথে। মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে কলা অনুষদের পক্ষে তিনি একমাত্র গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত ছাত্র ছিলেন। ছাত্রজীবনেই যোগ দেন একটি জাতীয় দৈনিকে সাব-এডিটর হিসেবে। পরবর্তী সময়ে আরও বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ও নিউজ পোর্টালে কাজ করে যোগ দেন দিগন্ত টেলিভিশনের ইংরেজি সংবাদ বিভাগে। পরবর্তী সময়ে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনুবাদ, ভয়েজ ওভার এবং চিত্রনাট্য তৈরিসহ নানা কাজ করেছেন। জাতীয় ও সাপ্তাহিক দৈনিকে তাঁর নিয়মিত কলাম প্রকাশিত হয়, যা ইতোমধ্যেই সচেতন পাঠক সমাজে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ‘ডেসটিনি ডিজরাপ্টেড: ইসলামের চোখে পৃথিবীর ইতিহাস’ অনুবাদকের প্রথম অনূদিত গ্রন্থ।