'প্রেমের অসুখ সারে না' - সহজ প্লটের সহজ গল্প, কিন্তু নিজের কিশোর ভাইটি বা কিশোরী কন্যাটির চিন্তাভাবনার জগতে ঢুকে পড়ার এক অবারিত সুযোগ। কোনো কিছু শেখানো হয়নি এই বইতে, কৈশোরের সমস্যাগুলোর কোনো সমাধানও মোটা দাগে আনা হয়নি। শুধু অবাধ্য, দুর্দমনীয়, বিদ্রোহী এডলোসেন্স ভাবনাগুলোর একটা অংশকে সহজভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি পাঠকের সাথে - এই গল্পটি দিয়ে। কাহিনী সংক্ষেপ- প্রেমের অসুখটা হয়েই গেল চৌদ্দ বছর বয়সের মেয়ে ঘুড্ডির! অসুখের তীব্রতায় ওর বুক ঢিপঢিপ করছে, অকারণে হাসি পাচ্ছে। খুব আনন্দ হচ্ছে আবার ভয়ভয়ও লাগছে! ঘুড্ডির তিন বছরের বড়ো ঘুঘুর যখন প্রথম প্রেম হয়, তখন ও বলেছিল এমনই নাকি হয়৷ ঘুড্ডি তখন ক্লাস সিক্সে আর ঘুঘু পরপর দুই বছর ফেল করে ক্লাস এইটে। তখন ঘুঘু, ওদের পাশের ফ্ল্যাটের রঞ্জুর প্রেমে মশগুল। ওর হাত কাঁপত, পা কাঁপত, বুক কাঁপত, ক্ষণে ক্ষণে মাথা ঘুরে উঠত - এসবের একমাত্র সাক্ষী তো ঘুড্ডিই! বুকে হাত দিলো ঘুড্ডি - ঠিক, কাঁপুনিটা একটু বেশিই অন্যসব সময়ের চাইতে। সত্যিই প্রেমের অসুখে পড়েছে ও... বীমা কলোনিতে ঘুড্ডিদের বিল্ডিংয়ের ঠিক উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ে, ওর জানালা বরাবর যে জানালাটা, সেই জানালায় যে ছেলেটাকে দেখা যায়, সোহাগ নাম তার। সোহাগের প্রেমে পড়ে ও বাজে মেয়ে হয়ে গিয়েছে! যারা প্রেমে পড়ে তারা খুব বাজে...!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘টুইটুবানির ফুল’ নামের পাঠকপ্রিয় ধারাবাহিক বড়গল্প দিয়ে লেখালেখির শুরু ১৯৮৮ সালে খুলনায় জন্ম নেওয়া আফসানা আশা’র। পড়াশোনা ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে, ভালোবাসার জায়গাও সাহিত্য। ব্যক্তিগত জীবনে এক কন্যাসন্তানের জননী। নিজেকে রঙধনুর মাম্মাম বলে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।