মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও তারেক মাসুদের চলচ্চিত্র (হার্ডকভার)

প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কারে স্থান পেয়েছিল তারেক মাসুদের 'মাটির ময়না'। জহির রায়হানের “স্টপ জেনোসাইড" এরপর তারেক মাসুদের “মুক্তির গান”কে বিবেচনা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের সেরা প্রামাণ্যচিত্র হিসেবে। তারেক মাসুদ শিল্পকে ভালবাসতেন। তিনি প্রতিটি কাজ করতেন যত্নের সাথে এবং নতুন প্রজন্মকে দিয়েছেন অনেক কিছু। “আদম সুরত” নির্মাণের জন্য ৭ বছর সময় নেন। তিনি শিল্পীর কাছাকাছি থেকে শিল্প সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে নিজের মধ্যে ধারণা বিকশিত করেন। “মুক্তির গান” নির্মাণের জন্য সেই লিয়ার লিভিনকে খুঁজে বের করা, সেই ১০-১২ জন শিল্পীর সাথে কথা বলা, গানগুলোর পুনঃনির্মাণে তাঁর পরিশ্রম ছিল অতুলনীয়। তারেক মাসুদের কাজে আমরা যত্ন ও ভালোবাসা দেখতে পাই। তারেক মাসুদ আমাদের মাঝে মুক্তির গান ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন। নতুন প্ৰজন্ম “মুক্তির গান” দেখে কিছুটা হলেও যুদ্ধকে উপলব্ধি করতে পারবে। প্রতিভাময় চলচিত্রকার তারেক মাসুদ জীবন অবসান ঘটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১১ সালের ১৩ আগস্টে।