লেখক পরিচিতি ও গ্রন্থ পরিচিতি নির্বাচিত কবিতা ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী দ্রোহের পাঁচালি গ্রন্থের মুখবন্ধে হাসান ফকরী সম্পর্কে লিখেছেন থ ‘সাহস একটি বড় গুণ; ভয় যেখানে শাসন করে সেখানে তো অবশ্যই। সকল শিল্পীরই সাহস থাকে। কিন্তু কেবল সাহস থাকলেই যে শিল্পী হওয়া যায় তা নয়। শিল্পী হাসান ফকরী অত্যন্ত সাহসী। তদ্সঙ্গে শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যে কল্পনাশক্তি, সৌন্দর্যবোধ ও পরিমিতিজ্ঞান, সেগুলো তাঁর নিজের মধ্যে তাঁর লেখায় পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তিনি শব্দচয়ন করেন সতর্কতার সঙ্গে, শব্দ সংগ্রহ করেন বিস্তৃত আহরণভূমি থেকে; ক্রোধের প্রকাশকে তিনি সংযত করেন উপমার সাহায্যে। নিজের সহজাত কৌতুকবোধকে ব্যবহার করেন দক্ষ উপায়ে। তাঁর আছে ছন্দ, সুর, স্বর ও বৈচিত্র্যসৃষ্টির স্বাভাবিক ক্ষমতা। সে-কারণে তাঁর রচনাগুলো হৃদয় স্পর্শ করে এবং স্মরণীয় হয়ে থাকে। যে বিষয়গুলো নিয়ে তিনি লিখেছেন সেগুলো আমাদের অপরিচিত নয়। পরিচিতকে তিনি নতুন করেছেন। একাজ যথার্থ শিল্পীরাই শুধু করতে পারেন; এবং করে থাকেন। আর আছে অঙ্গীকার। শিল্পচর্চায় হাসান ফকরী পরিপূর্ণরূপে অঙ্গীকারাবদ্ধ, এবং শিল্পের প্রতি তাঁর অঙ্গীকার একটি বড় অঙ্গীকারের অংশ। সেটি হলো সমাজ-পরিবর্তনের। বাংলাদেশে যে সমাজে আমরা বসবাস করি সেটি যে সুস্থ্য নয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুত এই বাস্তবতা মানুষের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা। যে অত্যাচার ও অনাচার চলছে সেটাকে কেউ বলবেন দানবীয়; কেউ বলবেন বিষাক্ত। হাসান ফকরী এই সমাজকে ভালোভাবে চেনেন ও জানেন। তিনি মনে করেন এই ব্যবস্থাটা অন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত; এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ যে ন্যায়সঙ্গত সেটা তাঁর উপলব্ধিতে সর্বক্ষণ কাজ করে। সেই বিদ্রোহটাই তিনি করেছেন তাঁর রচনায়, এবং তাঁর কাজে।’ রাষ্ট্র চিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক হাসান ফকরীর লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় মন্তব্য করেছেন থ ‘হাসান ফকরীর পরিচয় মার্কসবাদী সংগঠক ও লেখক হিসেবে। তাঁর সঙ্গে যাঁদের ব্যক্তিগত পরিচয় আছে তাঁরা তাঁর সৌজন্য, সততা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সাহস ও প্রখর বুদ্ধি দেখে বিস্মিত হন। ’৭১-এর যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের বিধ্বংসী কার্যকলাপ ও অবক্ষয় যাদের ব্যক্তিত্বকে পঙ্গু করতে পারেনি, হাসান ফকরী তাদেরই একজন।’ দ্রোহী পÐিত অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ আরেকটি বইয়ের মুখবন্ধে লিখেছেন থ ‘...নানা গুণ-গৌরবে ধন্য কম্যুনিস্ট কর্মী ও কবিতা-প্রবন্ধ লেখক আর জনপ্রিয় গান বাঁধিয়ে, নাট্যকার হাসান ফকরী।... তিনি অভীক তরুণের শক্তি ও সাহস আর সংকল্প নিয়ে গানের, কবিতার, নাটকের, প্রবন্ধের মাধ্যমেই নয় কেবল, দেহ-প্রাণ-মন-সময় ও শ্রম দিয়ে জনগণের মধ্যে কম্যুনিস্ট কমরেড হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্যদিন কাজ করে চলেছেন। তাঁর প্রয়াসের ফসল অনেক। নেই নেই করেও এ দৈশিক-সামাজিক আকালের কালে এমন মানবপ্রেমিক বিপ্লবী ব্যক্তি আমাদের মধ্যে রয়েছেন, তিনি তাই আমাদের গর্ব। হাসান ফকরী রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে থ পলিটিক্স বনাম পলিট্রিক্স, এসো বিদ্রোহ করি, ধর্ম ও ঈশ্বর অস্বীকারে বাধা কোথায়, দ্রোহের পাঁচালি, দেশটা কি তোর বাপের, প্রবন্ধ সমগ্র, নির্বাচিত কবিতা, মুঠো মুঠো কান্না, হাসান ফকরীর কবিতা ও গান, বাঁচতে চাই, এপয়েন্টমেন্ট লেটার, তানোর এখন সারাদেশ, ভোটের ভ্যাট, ক্রাশ ফারাক্কা, একুশের গান গা’ক মেশিনগান, প্রেয়সীরা চায় রক্তশাড়ি, ঈদপাখিটার মাংস খাবো, ধর বায়ু বয়, যদি এমন হতো, সারেঙ লঞ্চ ঘোরাও ইত্যাদি। হাসান ফকরী কাজ করেন সামাজিক কর্তব্যবোধ তাড়িত হয়ে, গণশক্তির উত্থান ঘটানোর চেতনায় তিনি সারাজীবন গণসংগঠন গণসংগ্রামের উপর জোর দিয়েছেন। ১৯৯৯ সালে গঠিত মহান চীন বিপ্লবের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটি, ২০০৬ সালে নেপালের বিপ্লবী সংগ্রাম সংহতি কমিটি, ২০১৬ সালে গঠিত মহান সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন কমিটি, ২০১৭ সালে গঠিত নকশালবাড়ির সশস্ত্র কৃষক অভ্যুত্থানের অর্ধশতবর্ষ ও কমরেড চারু মজুমদারের জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি, ২০১৭ সালে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শতবর্ষ উদযাপন কমিটি, ২০১৮ সালে কার্ল মার্কস-এর জন্মদ্বিশতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহŸায়ক নির্বাচিত হন। বিপ্লবী রাজনৈতিক তাত্তি¡ক পত্রিকা মাসিক ‘পর্যাস’-এর সম্পাদক ছিলেন হাসান ফকরী। ১৯৯৩ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন তিনি। শহীদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদের সভাপতি, স্বদেশ চিন্তা সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক এবং কবি-গীতিকার-নাট্যকার- প্রাবন্ধিক হাসান ফকরী। হাসান ফকরীর জন্ম ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জের (বিক্রমপুর) মিরকাদিম রিকাবী বাজার গ্রামে। বাবা আবদুল করিম, মা মজিলাল বেগম।
‘হাসান ফকরীর পরিচয় মার্কসবাদী সংগঠক ও লেখক হিসেবে। তাঁর সঙ্গে যাঁদের ব্যক্তিগত পরিচয় আছে তাঁরা তাঁর সৌজন্য, সততা, কর্তব্য নিষ্ঠা, সাহস ও প্রখর বুদ্ধি দেখে বিস্মিত হন। ৭১-এর যুদ্ধ এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের বিধ্বংসী কার্যকলাপ ও অবক্ষয় যাদের ব্যক্তিত্বকে পঙ্গু করতে পারেনি, হাসান ফকরী তাদেরই একজন। অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক হাসান ফকরীর লেখা একটি বইয়ের ভূমিকায় এমনই মন্তব্য করেছেন। দ্রোহী পণ্ডিত অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ আরেকটি বইয়ের মুখবন্ধে লিখেছেন- “...নানা গুণ-গৌরবে ধন্য ক্যুনিস্ট কর্মী ও কবিতা-প্রবন্ধ লেখক আর জনপ্রিয় গান বাঁধিয়ে, নাট্যকার হাসান ফকরী। ...তিনি অভীক তরুণের শক্তি ও সাহস আর সংকল্প নিয়ে গানের কবিতার, নাটকের, প্রবন্ধের মাধ্যমেই নয় কেবল, দেহ-প্রাণ-মন-সময় ও শ্রম দিয়ে জনগণের মধ্যে ক্যুনিস্ট কমরেড হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে নিত্যদিন কাজ করে চলেছেন। তাঁর প্রয়াসের ফসল অনেক নেই নেই করেও এ দৈশিক-সামাজিক আকালের কালে এমন মানবপ্রেমিক বিপ্লবী ব্যক্তি আমাদের মধ্যে রয়েছেন, তিনি তাই আমাদের গর্ব।” হাসান ফকরী রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- পলিটিক্স বনাম পলিট্রিক্স, এসাে বিদ্রোহ করি, ধর্ম ও ঈশ্বর অস্বীকারে বাধা কোথায়, মুঠো মুঠো কান্না, হাসান ফকরীর কবিতা ও গান, বাঁচতে চাই, এপয়েন্টমেন্ট লেটার, তানাের এখন সারাদেশ, ভােটের ভ্যাট, ক্রাশ ফারাক্কা, একুশের গান গা’ক মেশিনগান, প্রেয়সীরা চায় রক্তশাডি, ঈদপাখিটার মাংস খাবাে, খর বায় বয়, যদি এমন হতাে, সারেঙ লঞ্চ ঘােরাও। হাসান ফকরী কাজ করেন সামাজিক কর্তব্যবােধ তাড়িত হয়ে, গণশক্তির উত্থান ঘটানাের চেতনায় তিনি সারাজীবন গণসংগঠন গণসংগ্রামের উপর জোর দিয়েছেন।