ভূমিকা হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) তাঁর লিখিত কিভাবে “এসলাহে ইনকিলাবে উম্মত” শিরোনামে আমল ও এবাদতে সাধারণ মুসলমানের (ক্ষেত্রবিশেষ বিশ... See more
TK. 300 TK. 204 You Save TK. 96 (32%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
আরো দেখুন
বাংলাদেশে এই প্রথম "অনলাইন বাণিজ্য মেলা" ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে BOGO, 100+ Bundle, ফ্রি শিপিং সহ আকর্ষণীয় সব অফার!
নিশ্চিত ৫০% ছাড়ে পাচ্ছেন সমকালীন প্রকাশন-এর সকল বই!
ভূমিকা হাকীমুল উম্মত মুজাদ্দিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) তাঁর লিখিত কিভাবে “এসলাহে ইনকিলাবে উম্মত” শিরোনামে আমল ও এবাদতে সাধারণ মুসলমানের (ক্ষেত্রবিশেষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও) ত্রুটি-বিচ্যুতি ও অবহেলা উদাসীনতাগুলোকে চিহ্নিত করে তা থেকে উত্তরণের পথ প্রদর্শন করেছেন।
থানভী সাহেব কর্তৃক লিখিত সেই মূল্যবান বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। তারই একটি অংশ “আপনি নামাজে দুরুস্ত কি জিয়ে” (আপনার নামাজ শুদ্ধ করুন) আমার পড়ার সৌভাগ্য হয়। বিষয়টি আমার খুবই পছন্দ হয়। আর এই পছন্দই আমাকে উৎসাহিত করে- এবাদতের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির যাবতীয় তত্ত্ব ও ভুল-ত্রুটি গতি-প্রকৃতি সহজ ও সাবলীলভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। আমার এই চিন্তার কথা যখন আমার কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছে ব্যক্ত করলাম, তখন তাঁর আমাকে পরামর্শও দিলেন যে, (যেহেতু বিষয়টি নামাজ সংশ্লিষ্ট এবং থানভী সাহেবেরই লেখা, তাই) এর সাথে যেন বেহেশতী জেওরের নামাজ সংক্রান্ত মাসআলাগুলো যুক্ত করে দেয়া হয়, তাহলে এটি একটি পরিপূর্ণ কিতাব হয়ে যাবে এবং সাধারণ মুসলমানগণও এ থেকে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।
আল্লাহর নামে কিতাবটির কাজ আমি শুরু করেছিলাম, আর যেহেতু তাহারাত একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপর বরং তাহারাত ছাড়া নামাজই শুদ্ধ হবে না; তাই নামাজের মাসআলার পূর্বে তাহরাতের অধ্যায়টিও যুক্ত করে দিলাম। আল্লাহ আমাদের এই মেহনতকে কবুল করুন এবং সকলকেই উত্তম বিনিময় দান করুন।
এশফাক আহমদ কাসেমী ১৩৯৮ হিঃ
সূচীপত্র * নামাজের ভুল-ত্রুটি * পবিত্র বর্ণনা * নামাজের বর্ণনা
হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং এর গন্ডি পেরিয়ে যিনি হাজারো মানুষকে দিয়েছেন আত্মশুদ্ধি ও তাসাওউফ এর শিক্ষা। যার কারণে তাঁর উপাধি ছিলো ‘হাকীমুল উম্মাত’ বা উম্মাহর আত্মিক চিকিৎসক। উপমহাদেশে মুসলমানদের মাঝে সুন্নতের জ্ঞান প্রচারে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘দাওয়াতুল হক’ এর অবদানের জন্যও প্রসিদ্ধ মাওলানা আশরাফ আলী থানভীর নাম। মাওলানা আশরাফ আলী থানভী ১৯ আগস্ট, ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে (রবিউস সানী ৫, ১২৮০ হিজরী) ভারতের উত্তর প্রদেশের থানাভবনে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবেই হাফেয হোসাইন আলী রাহ.-এর কাছে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর শিক্ষাজীবন। নিজগ্রামেই ছোটবেলায় হযরত মাওলানা ফতেহ মুহাম্মদ থানভী রাহ.-এর কাছ থেকে আরবি ও ফার্সি ভাষার প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১২৯৫ হিজরীতে তিনি দারূল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন ইসলামি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উচ্চতর শাখাগুলোয় বিচরণ করার আগ্রহে। সেখানে তিনি পাঁচ বছর হাদীস, তাফসীর, আরবি সাহিত্য, ইসলামী দর্শন, যুক্তিবিজ্ঞান, ইসলামি আইন এবং ইতিহাস বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। দেওবন্দে শিক্ষার অধ্যায় সমাপ্ত করে মক্কা মুকাররমায় মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ্ মুহাজিরে মক্কীর কাছে কেরাত ও তাজবীদ শেখেন। তিনি কানপুরের একটি মাদ্রাসায় মাত্র ২৫ টাকা বেতনে শিক্ষকের পদ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কানপুরের টপকাপুরে জামিউল উলূম মাদ্রাসার প্রধান পরিচালকের আসন অলংকৃত করেন এবং দীর্ঘ ১৪ বছর সেখানে শিক্ষকতা করেন। পরবর্তীতে তাঁর শিক্ষক হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কীর রহ. পরামর্শে তিনি থানা ভবনের খানকাহে ইমদাদিয়ায় অবস্থান গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। সারা জীবনে আশরাফ আলী থানভী এর সকল বই এর হিসেব করতে গেলে ছোট-বড় মিলিয়ে তা সাড়ে বারো হাজার ছাড়িয়ে যায়। হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. এর বই সমূহ এর মধ্যে ফিকাহ বিষয়ক বই ‘বেহেশতী জেওর’ উপমহাদেশের মুসলমানদের মাঝে বহুল পঠিত। এছাড়া তাঁর রচিত কুরআন শরীফের উর্দু তরজমার গ্রন্থ বয়ানুল কুরআনও (কুরআনের ব্যাখ্যা) এর ভাষা ও ব্যখ্যাশৈলীর জন্য প্রসিদ্ধ। হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. এর বই সমগ্র এর স্বত্ত্ব তিনি জাতির কল্যাণে উন্মুক্ত করে রেখে গেছেন। জুলাই ১৯, ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে (১৬ রজব, ১৩৬২ হিজরী) আল্লামা থানভী রহ. তাঁর জন্মস্থান থানা ভবনেই মৃত্যুবরণ করেন।
নামাজের সমস্ত নিয়োম জেনে বুঝে নামাজ পড়ার আনন্দ বলে বুঝানো যাবেনা। এই বইটিতে নামাজের নিয়ম সম্পর্কে যথেষ্ট সহজ করে বুঝানো হয়েছে। তাই নামাজের সঠিক নিয়ম জানার জন্য বইটি সকলের ঘরেই পড়ার জন্যে রাখা প্রয়োজন।
Read More
Was this review helpful to you?
By Rabiul Hasan,
24 Feb 2021
Verified Purchase
নামাজের সমস্ত নিয়ােম জেনে বুঝে নামাজ পড়ার আনন্দ বলে বুঝানাে যাবেনা । এই বইটিতে নামাজের নিয়ম সম্পর্কে যথেষ্ট সহজ করে বুঝানাে হয়েছে ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Sadman Mahin Ananta ,
06 Feb 2021
Verified Purchase
Alhamdulillah, the books are very nice and informative . Every Muslim should read these books
Read More
Was this review helpful to you?
By Shakibul Alam,
27 Oct 2020
Verified Purchase
These Books are very necessary and excellent collection and service from Rokomari. Thanks.
Read More
Was this review helpful to you?
By MD RASHEDUL ALAM,
23 Jan 2020
Verified Purchase
Alhumdullah,,,very much informative ..for performing prayer
Read More
Was this review helpful to you?
By Shaiful Al-Mamun,
23 Sep 2019
Verified Purchase
বেষ্ট বুক ফর সালাত। কিভাবে নামায পড়বেন তার সঠিক নিয়ম
Read More
Was this review helpful to you?
By Noyon Hasan,
01 Aug 2021
Verified Purchase
বইটিতে সহজ ও সাবলীলভাবে লেখা হয়েছে।
Read More
Was this review helpful to you?
By Dr Hasan Mahbub Kajal,
28 Jan 2020
Verified Purchase
Useful book. Worthy collecting.
Read More
Was this review helpful to you?
By Nur Muhammad,
12 Mar 2020
Verified Purchase
Some page are blank
Read More
Was this review helpful to you?
By Md. Sumon Sheikh,
10 Sep 2022
Verified Purchase
alhamdulillah
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Ibrahim,
03 Apr 2021
Verified Purchase
Nice book
Read More
Was this review helpful to you?
By Md Emon Hasan,
16 Apr 2021
Verified Purchase
bad one
Read More
Was this review helpful to you?
By Mahedy Hassan,
14 Dec 2021
Verified Purchase
Good
Read More
Was this review helpful to you?
By মোঃ সজীব শেখ,
30 May 2021
Verified Purchase
Good
Read More
Was this review helpful to you?
By Rahman,
16 Mar 2021
Verified Purchase
(১) এই বই টি দলীলবিহীন এবং শত শত জাল / যয়ীফ হাদিসে ভরপুর । দলিলভিত্তিক বই নামাজের পড়ার চেষ্টা করুন। যেমন, জাল হাদিসের কবলে রাসুল (সঃ) এর নামাজ by ডঃ মুজাফফর বিন মুহসিন।
(২) দ্বীন এর কোন বেপারে দলীল দেয়ার ক্ষেত্রে শুধু 'আল-হাদিস' বলে দলীল দেয়া জায়েজ নয় । হাদিস গ্রন্থের নাম এবং নাম্বার উল্লেখ করতে হবে । যদি দলীল এর ক্ষেত্রে শুধু 'আল-হাদিস' বলা হয়, তাহলে তা জাল হতে পারে । যদি হাদিস টি সহিহ না হয়ে জাল হয় তাহলে তা মুহাম্মাদ (সঃ) এর নামে মিথ্যে বলার শামিল ।
মুহাম্মাদ (সঃ) এর নামে মিথ্যা আরোপ করার / বলার পরিণাম সম্পর্কে তিনি বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কোন কথা আরোপ করল যা আমি বলিনি, সে জাহান্নামী । " (আল বুখারী , কিতাবুল ইলম, হাদিস নাম্বার : ১০৯)
(৩) মুহাম্মাদ (সঃ) এর নামে মিথ্যে আরোপ করার / বলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন এবং ঘৃণ্য ভূমিকা পালন করেছে কুরআন ও হাদিসের শিক্ষার বিষয়ে অজ্ঞ এসব ধার্মিক মানুষেরা । শয়তান এদেরকে বুঝিয়েছে, আমরা তো মুহাম্মাদ (সঃ) এর পক্ষেই মিথ্যে বলছি । এ সকল মিথ্যে ছাড়া মানুষদের কে হেদায়েত দেয়া সম্ভব নয় । তাই এটা ভালো কাজ । শয়তান এদেরকে বুঝতে দেয়নি যে, তাদের চিন্তা ভুল । মিথ্যে ছাড়া মানুষকে হেদায়াত সম্ভব না একথা ভাবার অর্থ, আল্লাহর ওহী মানুষকে হেদায়াত করতে সক্ষম নয় । কুরানুল কারীম এবং বিশুদ্ধ হাদিস তার কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে । কি জঘন্য, নোংরা এবং বিকৃত চিন্তা (!!)
(৪) মুহাম্মাদ (সঃ) এর নামে মিথ্যে আরোপ করার / বলার মাধ্যমে এসব অজ্ঞ ধার্মিক মানুষেরা মূলত শয়তানের খেদমত করছে। নফল ইবাদতের 'মনগড়া সওয়াব' কল্প কাহিনী মুসলিম উম্মাহ কে 'ফরয' দায়িত্ব ভুলিয়ে দিয়েছে। অগণিত 'মনগড়া আমল' মুসলমানদেরকে কুরআন এবং হাদিস বর্ণিত 'কাজ এবং দায়িত্ব' থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
(৫) "ওহীর পক্ষে মিথ্যে বলার" কারণেই যুগে যুগে ধর্ম বিকৃত হয়েছে। এ কারণে মহান আল্লাহ বলেন : "বল হে কেতাবিগণ, তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে অন্যায় ভাবে বাড়াবাড়ি করও না ; এবং যে সম্প্রদায় পথভ্রষ্ট হয়েছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে এবং সরল্ পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না " (সুরা মাইদা, আয়াত ৭৭)