১ম অধ্যায় ইলম ও ইরফানের অপরিহার্যতা ইলমকে অগ্রাধিকার দেয়ার কারণ কতটুকু ইলম অর্জন ফরয
২য় অধ্যায় তাওবার বিধান তাওবার অর্থ ও শর্তসমূহ গুনাহ্র প্রকারভেদ ও মোচন করার পদ্ধতি তাওবার গুরুত্ব
৩য় অধ্যায় চারটি প্রধান বাধা ও উত্তরণের উপায় প্রথম বাধা: দুনিয়া ও তার মধ্যস্থ বস্তুসমূহ দ্বিতীয় বাধা: মখলুকের সাথে মেলা-মেশা মখলুক থেকে দূরে থাকার অপরিহার্যতার দ্বিতীয় কারণ ফিৎনার যুগে আলেমদের নির্জনতা তৃতীয় বাধা: শয়তান শয়তানের সাথে যুদ্ধের কৌশল ও তাকে পরাজিত করার উপায় খাওয়াতের ও ওয়াস্ওয়াসার পার্থক্য নির্ণয় ইবলিসী ধোঁকার প্রকাভেদ চতুর্থ বাধা: নফ্স বা প্রবৃত্তি প্রথম অনুচ্ছে: চোখের বর্ণনা দ্বিতীয় অনুচ্ছে: কানের বর্ণনা তৃতীয় অনুচ্ছে: জিহবার সংরক্ষণ চতুর্থ অনুচ্ছেদ: ‘ক্বলব’ বা অন্ত:করণের বর্ণনা অন্ত:করনে কুপ্রভাব সৃষ্টিকারী উপকরণসমূহ আকাঙ্ক্ষার তাৎপর্য ও প্রতিকার উচ্চআশা-আকাঙ্ক্ষার শ্রেণী বিভাগ হিংসার তাৎপর্য ও প্রতিকার তাড়াহুড়ার তাৎপর্য ও প্রতিকার অহংকারের তাৎপর্য ও প্রতিকার পঞ্চম অনুচ্ছেদ: পেটের হেফাযত শাসকদের দেয় হাদীয়া তোহ্ফা গ্রহণের বিধান বিত্তবান ও ব্যবসায়ীদের হাদীয়া গ্রহণের বিধান হালাল বস্তুর বিবরণ দুনিয়াদারী খুবই ভয়ংকর ইবলিসের অনিষ্ট থেকে বাঁচা অপরিহার্য সঙ্গদোষের কুফল নফ্সের জঘন্যতা প্রথম পরিচ্ছেদ: অন্তরের হেফাযত দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
৪র্থ অধ্যায় চারটি বিপত্তি ও তার প্রতিকার রিযিকের প্রকারভেদ দ্বিতীয় বিপত্তি: বিপদের আশঙ্কা ও ঝুঁকি তাফভীযের মোকাম সবর কীভাবে সৃষ্টি করবেন? প্রথম পরিচ্ছেদ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: রিযিক ও আল্লাহ-নির্ভরতা ধৈর্য কষ্টদায়ক বস্তকে দূর করে তৃতীয় পরিচ্ছেদ
৫ম অধ্যায় প্রেরণাদায়ক উপাদান: ‘খওফ ও রাজা’ ‘রাজা’ বা আশা’র গুরুত্ব কীভাবে অন্তরে আশাবাদ জাগ্রত করবেন প্রথম পরিচ্ছেদ: ভীতি প্রদর্শন ও সতর্কীকরণমূলক আয়াতসমূহ
৬ষ্ঠ অধ্যায় ধ্বংসকারী উপাদান: রিয়া ও ‘উজব’ ‘ইখলাস ও রিয়ার প্রভাব প্রথম পরিচ্ছেদ: ‘রিয়া’ ও ‘উজব’ পরিহারের অপরিহার্যতা রিয়া থেকে বাঁচার যৌক্তিকতা দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ তৃতীয় পরিচ্ছেদ চতুর্থ পরিচ্ছেদ
৭ম অধ্যায় হামদ ও শোকর নেয়ামতের শ্রেণী বিভাগ ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ-এ দু’ব্যক্তির মধ্যে কে উত্তম? প্রথম পরিচ্ছেদ: ধর্মীয় নেয়ামতের কদর অপরিহার্য কতর্ব্য দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ তৃতীয় পরিচ্ছেদ আল্লাহ্ তা’আলার দাসত্ব ও আনুগত্যের সুফল দুনিয়ায় প্রাপ্ত বিশটি সুফল আখেরাতে প্রাপ্য বিশটি সুফল
বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ., সংক্ষেপে ইমাম গাজ্জালী ছিলেন একজন সুফিসাধক ও মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শিক্ষাবিদ, যিনি তাঁর দর্শন ও চিন্তাধারা বিশ্ব মুসলিমদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইসলামের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তাঁর পারিবারিক ব্যবসা সুতা সংক্রান্ত হওয়ায়, সেখান থেকে তার নাম গাজ্জালী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়, যেহেতু 'গাজ্জাল' শব্দের অর্থ সুতা। ১০৫৮ খ্রিস্টাব্দে (হিজরি ৪৫০ সাল) ইমাম গাজ্জালী ইরানের খোরাসান প্রদেশের অন্তর্গত তুস নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং এই তুস নগরীতেই তার শৈশবকাল ও শিক্ষাজীবন অতিবাহিত হয়। তিনি ইসলামের স্বর্ণযুগে জন্ম নেন, যে যুগে শিক্ষা, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে মুসলমানরা অনেক এগিয়ে গিয়েছিলো। একইসাথে বিস্তার লাভ করেছিলো পাশ্চাত্য ও গ্রিক দর্শনেরও। ইমাম গাজ্জালী এসকল বিষয়েই দীক্ষা লাভ করেন এবং বিশেষ করে ঐ যুগের বিখ্যাত ধর্মতত্ত্ববিদ আলেম ইমামুল হারামাইন আল জুয়াইনির কাছ থেকে ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। মুসলিম দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, ফিকহশাস্ত্র ইত্যাদি বিষয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী । জ্ঞান-বিজ্ঞানের তীর্থস্থান বাগদাদের সেরা বিদ্যাপীঠ নিযামিয়া মাদ্রাসায় তিনি অধ্যাপনা করেন। তিনি তৎকালীন বাদশাহর দরবারেও আসন লাভ করেন। তবে সুফিবাদ ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের বিষয়ে তীব্র আকর্ষণ থাকায় তিনি জ্ঞান আহরণের জন্য দেশ-বিদেশ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন ও নানা বিষয় সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান অর্জন করেন। ইমাম গাজ্জালী রহ. বই রচনার মাধ্যমে তাঁর অর্জিত এসকল জ্ঞান মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বই সমূহ-তে তিনি আলোচনা করেছেন সুফিবাদ, ইসলামি দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে, এবং তাঁর রচিত বইয়ের সংখ্যা চার শতাধিক। হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহ. এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'আসমাউল হুসনা', 'মিশকাতুল আনোয়ার', 'ফাতাওয়া', 'মিআর আল ইলম', 'হাকিকাতুর রুহু', 'দাকায়েকুল আখবার' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ১১১১ খ্রিস্টাব্দে (৫০৫ হিজরি) তিনি নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে মৃত্যবরণ করেন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় একজন মনীষী।