“আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে কল্পনাপ্রবণ বেশিরভাগ মানুষ নিজের কল্পনার রঙ মিশিয়ে, ভালোবাসায় ভর করে, হাওয়ায় স্বপ্ন বুনে চলে। হয়তো তার মধ্যে অল্প কিছু মানুষের ভাগ্যে জোটে স্বপ্ন বোনার উপযুক্ত উপকরণ প্রিয় মানুষের ভালোবাসা, আস্থা, বিশ্বাস, প্রতিশ্রুতি। যাঁদের স্বপ্নের বুননে ভালোবাসার মানুষের প্রতিশ্রুতি থাকে না, তাঁরা ঘর বাঁধতে গিয়ে বেঁধে চলে খেলাঘর। উপন্যাসের দুটি চরিত্র রোকসানা আর সুরমা। রোকসানার চোখে আবেগী রঙ লাগতে না লাগতেই তা ধুয়ে যায় চোখের জলে। স্বপ্ন দেখার সুযোগ-ই যার কাছ থেকে কেড়ে নেয় পরিবারের তথাকথিত ভালো থাকার সিদ্ধান্ত 1 তারপর কেমন করে কাটে তাঁর সুদীর্ঘ স্বপ্নহীন জীবন! মা রোকসানার পথ ধরে আরও খানিকটা হেঁটে যায় মেয়ে সুরমা। স্বপ্ন বুনে চলে আপনমনে। ঘর বাঁধতে চায় প্রিয়তম মানুষটির সাথে। সুরমার চাওয়ার মূল্যে হাতে হাত রাখবে তো তার স্বপ্নে বিচরণ করা মানুষটি? নাকি অধরাই থেকে যাবে তার স্বপন? তার জীবনও কি মায়ের মতোই স্বপ্নহীন হয়ে শুধু কেটেই যাবে? নাকি সে-জীবনের সাথে যুক্ত হবে অন্য কোনো কারণ? হয়তো সে খুঁজে পাবে বাঁচার কোনো নতুন রসদ। প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ প্রচ্ছদের আলোকচিত্র : মাহফুজা জেসমিন
নড়াইল জেলার বড়দিয়া গ্রামে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা। গান, লেখাপড়া, খেলাধুলা আর আনন্দের মধ্য দিয়ে কাটে শৈশব। আট বছর বয়সে বাবাকে হারালেও মা আর বড় ভাইদের নিবিড় ছায়ায় কাটে জীবন। স্বপ্ন ছিল গানের জগতে নিজেকে সঁপে দেওয়ার। এসএসসি পাস করার পর বড় ভাইয়ের কর্মস্থল চট্টগ্রামে গিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ পাস করে ২০০৩ সালে ঢাকায় কর্মজীবন শুরু করেন ব্যাংকিং সেক্টরে।। তারপর বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ। ২০০৯ সালে সন্তানের প্রয়ােজনকে গুরুত্ব দিয়ে চাকরি ও গান ছেড়ে পুরােপুরি মাতৃত্বের স্বাদ নেন। বর্তমানে দুই সন্তানের সন্তুষ্ট মা।। ২০১৮ সালে মাকে হারিয়ে নিজেকে সামলাতে কৈশাের ও যৌবনের লালিত শখ লেখালেখিতে মনােনিবেশ করেন।