ব্যাংক থেকে বলছি, আপনার ATM কার্ড ব্লক হয়ে যাবে। SMS এল, আপনি কেবিসি লটারিতে সত্তর লক্ষ ডলার জিতেছেন। এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি এমন মানুষ আজকের দিনে বিরল। এগুলো সবই সাইবার ক্রাইমের বিভিন্ন ধরণ। পাশাপাশি পেপারে, টিভিতে আকছার খবর হয় বহু মানুষ সাইবার ক্রাইম চক্রের প্রতারণায় নিজের অর্থ খুইয়েছেন। এরা মূলত মানুষের ভয় আর লোভকে হাতিয়ার করে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লুট করছে। এই সাইবার ক্রাইমের চক্রগুলি যেসব জায়গা থেকে পরিচালিত হয় তার মধ্যে অন্যতম ও সবচেয়ে কুখ্যাত এলাকা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া। প্রতারকদের আঁতুড়ঘর জামতাড়ার জনবসতির একটা বিরাট অংশ এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। জামতাড়ায় পেশাদার প্রতারকদের ডাক নাম 'সাইবার'। প্রতারণা করাকে ডাকা হয় 'টাটলু কাটনা' নামে। এরা দিনে দিনে অত্যাধুনিক টেকনোলজি আশ্রয় করে নতুন নতুন উদ্ভাবনী পন্থায় মানুষকে প্রতারণা করে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে। আপনি কি যথেষ্ট সতর্ক? - মোবাইল ফোনের অ্যাপ ইন্সটল করার সময় সবকটি পয়েন্ট পড়ে দেখেন? - কোন অচেনা লিংকে ক্লিক করার আগে নিশ্চিত হয়ে নেন কি? - ব্রাউজারে কোন এমন সাইট খোলেন না তো যেটাতে https নেই? - অনলাইন পেমেন্ট করার সময় সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করেন কি? আসছে আমার, আপনার সবার সাইবার নিরাপত্তার জ্ঞান বাড়াতে । সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভ্যাক্সিন হিসাবে - 'হ্যালো জামতাড়া'।
করোনার মতোই অজানা শত্রু সাইবার ক্রাইম। প্রথমটির ক্ষেত্রে টিকা-বর্ম রয়েছে। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তাও নেই। তাহলে, সাইবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার কী? খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, সাইবার ঠগিদের অন্দরমহল নিয়ে লেখা এই বইটি। হ্যালো জামতাড়া একবার পড়া শেষ করলে পাঠকের মনেই একটা অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে, যা তাঁকে একই সঙ্গে সাবধান করবে— বাড়াবে সচেতনতা। গুগল ঘেঁটে নয়, ঠান্ডা ঘরে বসেও নয়, বইটি লেখা হয়েছে জামতাড়ার গ্রাউন্ড জিরো থেকে। অতএব, এই বইয়ে পাওয়া যাবে বাস্তবতার ছোঁয়া।