"সূর্যতামসীতে যে রহস্যের সমাপ্তি ঘটিয়াছিল বলিয়া আপাতদৃষ্টিতে মনে হইয়াছিল, প্রকৃত প্রস্তাবে উহা ঘটনার সূচনামাত্র। যে ভয়ানক ষড়যন্ত্রের জটাজাল ক্রমে এই দেশের পটভূমিতে ঘনাইয়া আসিতেছিল, কেহ তাহার বিন্দুমাত্র সন্ধান রাখে কী? প্রিয়নাথ দারোগা, তারিণীচরণ, গণপতি, সাইগারসন সকলই এক অদ্ভুত ক্রীড়ার ক্রীড়নক। অবাক বিষ্ময়ে তাঁহারা সকলে চাহিয়া দেখিবেন- অবশেষে ভূত জাগিয়াছে"... একশো বছর পরে আবার সেই ভূতের ঘুম ভেঙেছে। একের পর এক মৃত্যু। হত্যা। দুর্ঘটনা। এঁরা কি পরস্পরের থেকে আলাদা? নাকি সবই এই ভূতের কারসাজি? না চাইতেই এই রহস্যে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পরে তুর্বসু রায়। তাঁর হাতে ছেঁড়া ছেঁড়া কিছু তথ্য আর তারিণীর রেখে যাওয়া অদ্ভুত এক সূত্র, যার সঙ্কেত উদ্ধার না করতে পারলে এ বিপদ থেকে মুক্তি নেই। খেলা শুরু হয়ে গেছে। তবে এবার রহস্য আরও গভীর। আরও বিস্তৃত। জানা যাবে আগে ঘটে যাওয়া অনেক ছেড়ে আসা জিজ্ঞাসার উত্তর, দেবাশীষ গুহের মৃত্যুর পিছনের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র, জড়িয়ে পড়বেন একের পর এক মানুষরা। তারিণী, গণপতি, প্রিয়নাথ, তুর্বসু তো আছেনই, তাঁরই সঙ্গে ঘটনাপ্রবাহে জড়িয়ে পড়বেন সেকালের বঙ্কিমচন্দ্র, অমৃতলালের মত মানুষ থেকে আজকের চন্দননগরের দুই "সত্যিকারের" গবেষক। তাঁরাও সাহায্য করবেন এই ভয়ানক লোমহর্ষক রহস্য সন্ধানে। পত্রিকার কাটিং, বিজ্ঞাপন, টিকিটের টুকরো, ফটোগ্রাফ সব মিলিয়ে মিশিয়ে ছড়িয়ে থাকবে ক্লু। আর থাকবে একটা বুক উইদিন বুক। তাতে কী থাকবে? থাকবে বটতলার হারিয়ে যাওয়া এক রহস্যময় নাটক।