অনেক কম বয়স থেকেই মানিক বৈরাগী খেলাঘরের সাথে যুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই তার প্রথম ছড়া প্রকাশিত হয়। এভাবে যুগপৎ লেখালেখি ও রাজনীতিতে তিনি তুমুলভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। ঐ সময় এরশাদ বিরোধী স্বৈরাচার আন্দোলন তীব্র হলে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রকাশ করতে থাকেন ভাঁজপত্র মুক্তির উল্লাস ও ছড়াপত্রিকা শ্রম। পনের আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে পিতা নামে শোক স্মারকগ্রস্থও তিনি প্রকাশ করেন। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের রেশ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে । হতাশাগ্রস্ত অন্য অনেক ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীর মত তিনিও যোগদান করেন ছাত্রলীগে। এ সময়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তার পা কেটে দিলে লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে সেখানেই। এরপর শুধু রাজনীতি আর রাজনীতি। ছেদ পড়ে তার লেখালেখিতে। দায়িত্ব নেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির। ২০০১-০৬ সনের জোট সরকারের শাসন আমলে তার উপর নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। ফেরারী হন তিনি। আবার কারাবন্দিও হন। এ সময় তাকে বাবা-মার জানাযায়ও অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। কারামুক্তির পর তাকে রিসিভ করেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনাবহুল এমন রাজনৈতিক জীবনের পর তিনি আবার লিপ্ত হন তার নিজস্ব কবিতাভুবনে।
জন্ম: ২৮ জানুয়ারী ১৯৭১ অনেক কম বয়স থেকেই মানিক বৈরাগী খেলাঘরের সাথে যুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অবস্থাতেই তার প্রথম ছড়া প্রকাশিত হয়। এভাবে যুগপৎ লেখালেখি ও রাজনীতিতে তিনি তুমুলভাবে যুক্ত হয়ে পড়েন। এ সময় এরশাদ বিরোধী স্বৈরাচার আন্দোলন তীব্র হলে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রকাশ করতে থাকেন ভাঁজপত্র-'মুক্তির উল্লাস' ও ছড়াপত্রিকা 'শ্রম'। পনের আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকীতে 'পিতা' নামে শোক স্মারকও তিনি প্রকাশ করেন। নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত। ইউনিয়নের ভাঙনের রেশ ধরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে। হতাশাগ্রস্থ অন্য অনেক ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীর মতো তিনিও যোগদান করেন ছাত্রলীগে। এ সময়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে ছাত্র শিবিরের ক্যাডাররা প্রতিহিংসাবশত তার পা কেটে দিলে লেখাপড়ার সমাপ্তি ঘটে সেখানেই। এরপর শুধু রাজনীতি আর রাজনীতি। ছেদ পড়ে তার লেখালেখিতে। দায়িত্ব নেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির। ২০০১-০৬ সনের জোট সরকারের শাসনামলে তার উপর নেমে আসে ভয়াবহ নির্যাতন। ফেরারী হন তিনি। আবার কারাবন্দিও হন। এ সময় তাকে বাবা মা'র জানাজায়ও অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। কারামুক্তির পর তাকে রিসিভ করেন তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনা। ঘটনাবহুল এমন রাজনৈতিক জীবনের পর তিনি আবার লিপ্ত হন তার নিজস্ব কবিতা ভুবনে। সে সবের প্রয়াস হিসেবে ২০১১ সালে বের হয়েছিল তার প্রথম কবিতাগ্রন্থ 'গহীনে দ্রোহ নীল'। 'শুভ্রতার কলঙ্ক মুখস্থ করেছি' তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।