শারীআত বিশ্বাসের স্বাধীনতাকে অনুমোদন দেয় না, দ্বীন গ্রহণের ক্ষেত্রে মানুষকে স্বাধীন মনে করে না। শারীআত সত্য ও সঠিক বিশ্বাস আঁকড়ে ধরতে আদেশ দিয়েছে। মানুষের জন্য তা মেনে চলা ফরজ। সঠিক আকীদা-বিশ্বাস আঁকড়ে ধরার আবশ্যকতা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন। ইচ্ছে মতো যেকোনো দ্বীন গ্রহণ করার স্বাধীনতা মানুষের নেই। আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন, তা লঙ্ঘন করার অধিকার কারও নেই। মানুষের জন্য আবশ্যক হলো আল্লাহর নির্বাচিত দ্বীন—ইসলাম গ্রহণ করা, একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করা, তাঁর শারীআতের প্রতি অনুগত হওয়া এবং তাঁর মনোনীত রাসূল মুহাম্মাদ -এর পরিপূর্ণ অনুসরণ করা। বর্তমানে এই ফিতনার সময়ে মানুষ অকাট্য ও সুস্পষ্ট এই বিধানটি নিয়েও সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, ড. রাগিব সারজানি ও সফিউর রহমান মোবারকপুরীর মতো বিখ্যাত আলিমদেরও পদস্খলন ঘটেছে। তারাও এর সমর্থন দিয়েছেন! অথচ তা ইসলাম বহির্ভূত। বিশ্বাসের স্বাধীনতা কী, কেন তা ঈমান বিধ্বংসী, এর আবিষ্কারক কারা, তাদের এই বিভ্রান্তির মূল কারণ কী, এর পরিণতি কী, যারা এর সমর্থন দিয়েছেন এবং এর পক্ষে দলীল পেশ করেছেন, তাদের খণ্ডন ও জবাব কী ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা নিয়েই লেখা হয়েছে বিশ্বাসের স্বাধীনতা বইটি।