বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC) নতুন CBCS পদ্ধতি প্রস্তাব করার পরে এবং সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এই পাঠক্রম অনুযায়ী সেমিস্টার পরীক্ষাব্যবস্থার প্রবর্তন করার ফলস্বরূপ পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কার্যত CBCS পদ্ধতির প্রস্তাবিত পাঠক্রম থেকেই প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজস্ব পাঠক্রম গঠন করে। শিক্ষাপ্রসারে মাতৃভাষার কোন বিকল্প নেই । তাই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ও পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাঠক্রম অনুসারে বাংলাভাষায় বই প্রকাশের এই প্রয়াস। বাংলাভাষায় পদার্থবিদ্যার বই লিখতে গিয়ে ভাষার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে। এক অজ্ঞাত কারণে পদার্থবিদ্যার বইগুলির মধ্যে ‘করিবে’, ‘হইবে’ ও নানারকম সাধুভাষার অকারণ অনুপ্রবেশ ঘটে একটি গুরুচণ্ডালি ভাষার প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। এই বইটিতে সেই ব্যবহার পরিহার করে সম্পূর্ণভাবে চলিত ভাষায় লেখা হয়েছে। সেইসঙ্গে সহজ সরলভাবে বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের আরো একটি সমস্যা এই যে সেটি একদিকে যেমন সুপাঠ্য হতে হবে তেমনই একইসঙ্গে পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর লিখতেও সাহায্য করবে। এই দুটি বিষয়ের কথা মাথায় রেখে অধ্যায়গুলি বিভিন্ন অনুচ্ছেদে ও পরিচ্ছেদে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক অংশের সঙ্গে গাণিতিক উদাহরণ থাকার ফলে বিষয়গুলিকে যেমন বুঝতে সাহায্য করবে তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে সুবিধা হবে। পরীক্ষা ব্যবস্থার কথা খেয়াল রেখে ও প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষে অতিরিক্ত গাণিতিক উদাহরণ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পরিবেশন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিগত বছরের প্রশ্নগুলির উত্তর যথাসম্ভব সংযোজিত করা হয়েছে। এই প্রশ্নোত্তরগুলিকে বাদ দিলে বইটির কলেবর অনেকটাই হ্রাস পেতে পারত। সম্ভাব্য আরও অনেক প্রশ্ন অধ্যায়ের সঙ্গে সংকলিত হয়েছে ও গাণিতিক প্রশ্নগুলিতে অনেকক্ষেত্রেই ইঙ্গিত দেওয়া আছে। কোন শিক্ষক বা সহায়ক বইয়ের সাহায্য ছাড়াই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিজ নিজেই বইটি পড়ে বিষয়গুলি বুঝতে পারে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।