কিতাবের বর্ণনাঃ জিলহজ্জ মাসে কুরবানীর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিজরী সাল। কুরবানীর এ মাসের স্মরণে থাকেন মুসলিম মিল্লাতের পিতা সাইয়্যেদুনা ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম এবং তাঁর পুত্র আমাদের নবী ইসমাইল আলাইহিস সালাম। আবার হিজরী সালের শুরু হয় মুহাররম মাস দিয়ে। মুহাররম মাস শোকের মাস, আহলে বাইতে আতহার প্রেমিকদের জন্য ব্যাথা-বেদনার মাস। মুহাররম মাস পালিত হয় সাইয়্যেদুল মুরসালিন রাসূলে পাক ﷺ-এঁর দৌহিত্র যিনি আলি-ফাতেমা আলাইহিমাস সালামের কলিজার টুকরা জান্নাতের সরদার সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামসহ দূর ইরাকের কারবালা প্রান্তরে ৭২ শহীদের রক্তে রঞ্জিত বেদনা ক্লান্ত স্মৃতির স্মরণ দিয়ে। ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর প্রিয় সন্তান নবী ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কুরবাণী দিতে আদিষ্ট হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর পরিবর্তে কুরবানী হয়েছিল পশু। সেদিন সাইয়্যেদুনা ইসমাঈল আলাইহিস সালামকে রক্ষা করা হলেও হাকিকতে তাঁর পরিবর্তে এ কুরবানীর পরিসমাপ্তি ঘটে নবিজী ﷺ-এঁর কলিজার টুকরা সাইয়্যেদুনা হুসাইন আলাইহিস সালামের কারবালার প্রান্তরে শাহাদাতের মাধ্যমে। আর তাই সাইয়্যেদুনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ‘যবহে আযীম’-এর মহিমান্বিত মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন। যবহে আযীমঃ ইসমাঈল (আঃ) হতে হুসাইন (আঃ) পর্যন্ত কিতাবটিতে শাইখ-উল-ইসলাম আল্লামা প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মাদ তাহির-উল-ক্বাদরী উপরোল্লিখিত বিষয়টিই দালিলিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।