আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের যেসব নিয়ামত দান করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো আর্থিক বিনিয়মের সুবিধাজনক মাধ্যম, অর্থাৎ অর্থসম্পদ বা টাকা। বহুকাল থেকেই অর্থসম্পদ মানবজাতির সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদে পরিণত হয়েছে। একই সাথে দুনিয়ার অন্য সব উপাদানের মতো অর্থসম্পদও আল্লাহর বান্দাদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ। ইসলামি ইতিহাসের এমন এক সময়ে আমরা এখন বসবাস করছি, যেখানে বর্তমান যুগের মুসলিমরা অর্থসম্পদের পেছনে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে অনেকে তো হালাল-হারামেরও কোনো তোয়াক্কা করছে না। এমন সময় আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশিত পথে রিজিক অর্জন সংবলিত একটি বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বক্ষ্যমাণ বইটির কেন্দ্রবিন্দু হলো হালাল উপায়ে মুসলিমদের সম্পদ উপার্জনে উৎসাহী করা এবং সব রকম হারাম উপায় থেকে দূরে থাকার নাসীহাহ প্রদান করা। হালাল উপায়ে মুসলিমদের রিজিক বৃদ্ধির ১৫টি উপায় বইটিতে উল্লিখিত হয়েছে। তন্মধ্যে রয়েছে: তাকওয়া, বারবার মাফ চাওয়া ও তাওবাহ করা, শুধু আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা, নিরন্তর আল্লাহর ইবাদত করা, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা, আত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, আল্লাহর পথে ব্যয় বৃদ্ধি করা, বিয়ে, সততার সাথে লেনদেন করা ইত্যাদি।
ড. আবু আম্মার ইয়াসির ক্বাদি (বা ইয়াসির কাজি) হলেন একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আমেরিকান মুসলিম লেখক এবং পশ্চিমা বিশ্বে বহুল পরিচিত অন্যতম ইসলামিক শিক্ষামুলক প্রতিষ্ঠান, আল-মাগরিব ইন্সটিটিউটের একাডেমিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিন। তিনি ইসলাম ও সমসাময়িক সাম্প্রতিক ইসলামিক বিষয়াবলির উপর উপর বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন এবং লেকচার দিয়েছেন। ২০১১ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে ইয়াসির ক্বাদিকে "আমেরিকার ইসলামে একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব" হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জন্ম ১৯৭৫ খ্রি. আমেরিকার হিউস্টন, টেক্সাসে। মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামী আকিদায় এম.এ. করেছেন। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ‘ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে। এ ছাড়া হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেছে রাসায়নিক প্রকৌশলে। বর্তমানে তিনি আল-মাগরিব ইন্সটিটিউট-এঅ্যাকাডেমিক বিষয়ক ডিন।