প্রযুক্তির উতকর্যতা যত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই এর ক্ষেত্র বড় হচ্ছে। ইন্টারনেট এখন সবার হাতে হাতে, এই ইন্টারনেট এর যেমন সুবিধা আছে তেমনি এর ব্যবহারের অসুবিধাও আছে। প্রযুক্তির এই অগ্রগতি কে অনেকে ভাল ব্যবহার করছে আবার অনেকে খারাপ ব্যবহার ও করছে। এই ইন্টারনেট নির্ভর দুনিয়ায় আপনিও নিজেকে তৈরি করে নিতে পারেন। আইটি দক্ষতা অর্জন করে নিজেকেও স্বাবলম্বী করতে পারবেন।
বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী সাইবার সিকিউরিটির উপর ক্যারিয়ারের ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে, আমরা জেনে বা না জেনে, সচেতনতার অভাবে এই সাইবার ঝুঁকিতে পা দিচ্ছি, সাইবার সিকিউরিটি এই বইটি একজন ব্যক্তিকে সাইবার ওয়ার্ল্ডে কিভাবে নিরাপদ থাকবে তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। ছোট,বড় ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান সমূহ প্রতিনিয়ত সাইবার ঝুঁকিতে পড়ছে, এর ফলে প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এমনকি সেই সব প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে যাচ্ছে, এই সব ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকার জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া যাই তা বইটিতে সহজে তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া সাইবার সিকিউরিটিতে ক্যারিয়ার তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য বইটি জন্য খুবই সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। সর্বোপরি সাইবার সিকিউরিটি বইটি আপনার সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধি করতে কার্যকরি ভূমিকা পালন করবে।
আইটি বিশেষজ্ঞ জনাব আরিফ মঈনুদ্দিন পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে পড়াশোনা করলেও তার আগ্রহ ছিল আইটি সিকিউরিটি নিয়ে। কম্পিউটার সাইন্সে না পড়ার কারনে তাকে অনেক বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। সব প্রতিকুলতা অতিক্রম করে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে, অর্জন করেন বেশ কিছু ভেন্ডর সার্টিফিকেশন, CEH,CHFI,CSA,CSCU,ECSA,CEI,OSINT and Red Hat এর RHSCA. এছাড়া তিনি EC-Council এর অধীনে একজন সার্টিফাইট ইন্সট্রাকটর। ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তিনি চাকরি করেছেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে একটি আইটি ফার্মে, পরবর্তিতে তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেন, কাজ করেছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে এবং প্রশিক্ষন দিয়েছেন আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও সরকারি কর্মকর্তা কে। তিনি কাজ করেছেন এবং প্রশিক্ষন দিয়েছেন RAB,PBI,DMP,CMP,BMP,ATU,CID ও District Police এবং ICT Division কে। বর্তমানে তিনি সাইবার সিকিউরিটির কথা মাথায় রেখে এবং দক্ষ এক্সপার্ট তৈরি করতে প্রতিষ্ঠা করেন Decodes Lab Limited (www.decodeslab.com). তিনি বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থপনা পরিচালক ও প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন, এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০০ এর অধিক ব্যক্তি ট্রেনিং প্রাপ্ত হয়ে দেশে বিদেশে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, আইটি ফার্ম ও গোয়েন্দা সংস্থাতে দক্ষতার সাথে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি সবার কথা চিন্তা করে আইটি সিকিউরিটির উপর দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য একটি অনলাইন ভিত্তিক ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন (www.cyberskillbd.com), যেখান থেকে সহজে ও কম খরচে যে কেউ কোর্স করে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সময়ে তথ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে ওয়ার্কশপ ও সেমিনার পরিচালনা করেছেন এবং দেশের লিড টিভি মিডিয়া গুলোতে সাক্ষাতকার প্রদান করে চলছেন। তার কর্মততপরতার মধ্যে আরো রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির দুর্বলতা মূল্যায়ন ও পেনিট্রেশন টেস্টিং, ডেটা প্রাইভেসি মূল্যায়ন, কনসালটেন্সি। তিনি সাইবার অপরাধের ভুক্তভোগিদের পরামর্শও দিয়ে থাকেন। তিনি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর অধীনে সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল ফরেন্সিক এর উপর সিলেবাস প্রণয়ন ও মানদণ্ড নির্ধারণ কমিটির সদস্য ছিলেন।