সাহিত্যের সবচেয়ে কঠিন শাখাটি প্রবন্ধ। এসময়ের অধিকাংশ সাহিত্য বোদ্ধাদের মতে ভালো প্রাবন্ধিকের অভাব চলছে। আমাদের রৌদ্রছায়া পরিবারেরও তেমনটা মনে হয়। সাহিত্যের যা চিরন্তন উদ্দেশ্য- সৌন্দর্যসৃষ্টি ও আনন্দদান, তাই যদি প্রবন্ধেরও উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে সত্যি বিষয়টি ভাবনার। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের এই সময়ে সাহিত্যের ফলন বেশ উর্বর দেখা গেলেও প্রকৃত ধ্যানজ সাহিত্যানুরাগির অভাববোধ করে বোদ্ধারা। বিষয়টি যতটা আলোচনার তারও বাইরে আরেকটু এগিয়ে গেলে অনুমান করা যায়, আসলে নতুনদের গ্রহণ করতে চায় না তাঁরা। একারণে তরুণদের লেখালেখিকে অবজ্ঞা করা হলেও তাদের লেখা সম্পর্কে অধিকাংশই খবর রাখে না। আমরা রৌদ্রছায়া পরিবার সেই ধারণাটি থেকে বের হয়ে লেখকদের লেখাকে প্রাধান্য দিতে পাণ্ডুলিপি পুরস্কারের আয়োজন করে থাকি। সেই পাণ্ডুলিপি পুরস্কারে জন্য নির্বাচিত হয়েছেন কবি ও প্রাবন্ধিক ফাহমিদা ইয়াসমিনের এই প্রবন্ধ গ্রন্থটি। আমরা বিশেষভাবে আনন্দিত এতো সুন্দর একটি পাণ্ডুলিপি আমাদের হাতে এসেছে। আমাদের বিশ্বাস তিনি এই গ্রন্থটির মধ্য দিয়ে সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখতে সচেষ্ট হবেন। তিনি আরও ভালো ভালো প্রবন্ধ লিখবেন। -প্রকাশক
প্রেম ও প্রকৃতির কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন জন্ম: ৩১ ডিসেম্বর, মৌলভীবাজার জেলার বড়কাপন গ্রামে। বাবা: প্রবাসী শিল্পপতি আলহাজ্ব মো. ইলাছ মিয়া, মা: ফজিলাতুন্নেছা চৌধুরী। লন্ডন প্রবাসী কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের স্বামী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল ইসলাম ও আদরের দুই সন্তান ফারহাত, ফারহান। তিনি সরকারি মৌলভীবাজার মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও সাহিত্যের সকল শাখায় গভীর মনোনিবেশ করে যাচ্ছেন সতত। দেশ বিদেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া ও বিভিন্ন সংকলনে অনবরত লিখে যাচ্ছেন, প্রবন্ধ, কবিতা, গল্প, ছড়া। লেখকের প্রকাশিত গ্রন্থ স্বপ্নচারী মন (কবিতা), নীলিমার প্রেম (কবিতা), শংকা সময়ের নিষিদ্ধ ধ্বনি (কবিতা), ডায়েরির শেষ পাতা (উপন্যাস), ফুল ফুটে পাখি উড়ে (শিশুতোষ ছড়া), বিদ্রোহী বিক্ষোভ (কবিতা), অস্তিতের বিষণ্ণ দেয়াল (কবিতা), কথার সুঁতোয় সেলাই করি আগামীর স্বপ্ন (কবিতা), ফারহানের মুক্তিযুদ্ধ (শিশুতোষ গল্প), ফারহাতের বিজয় (শিশুতোষ গল্প)।