শহর— যেখানে অনেক মানুষ; সবার ক্লান্তিহীন ছুটে চলা, যাত্রা গন্তব্যহীন। এই শহরের বুকে প্রতিনিয়ত নানান গল্প তৈরি হয়— নাগরিক গল্প, জীবনের গল্প। এইসব গল্প কি আর সবাই পড়তে পারে! পত্র-পত্রিকার পাতাজুড়ে যাঁর লেখা আসে, তিনি সবার পরিচিত গল্পকার ও কলামিস্ট রহিমা আক্তার মৌ। তিনি শহরে হেঁটে হেঁটে কিছু গল্প সঞ্চার করেছেন, তা উপলব্ধি করতে পেরেছি তাঁর ‘গন্তব্যহীন যাত্রা’ ছোটগল্পের পাÐুলিপি পড়ে। চিরচেনা শহরের বুকে নিদারুণ কিছু চরিত্রকে তিনি অতিশয় কাল্পনিক আবহে চিত্রায়িত করেছেন যা পড়ে মনে হবে— এসব কোনো কাল্পনিক গল্প নয়। নাগরিক ব্যস্ততার অলক্ষে মানুষের মনের ভেতর শহুরে প্রেম-ভালোবাসা, ব্যর্থতা-বিরহ, জীবনের শুরু থেকে শেষ বয়স অব্দি ছুটে চলার যে দৃশ্য তিনি অংকন করেছেন, তা প্রতিটি গল্পের প্রেক্ষাপটকে আরও আবেদনময়ী করে তুলেছে। গল্প বলা মানুষ রহিমা আক্তার মৌ। তিনি ‘গন্তব্যহীন যাত্রা’য় যেভাবে নাগরিক গল্পগুলো রূপায়িত করেছেন, তা সুন্দর ও সমৃদ্ধ। যেন তিনি কিছু মানুষকে দিয়ে গল্পগুলোর দৃশ্যায়ন করিয়ে তারপর লিখেছেন নিশ্চিন্ত মনে। তাঁর এই গল্প বলার প্রচেষ্টা চলতে থাকুক। শুভ কামনা নিরন্তর।