ইংরেজী সাহিত্যের একজন শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স-এর জন্ম ইংল্যান্ডের পোর্টস মাউথ শহরের নিকট ল্যান্ডপোর্ট নামক স্থানে। আট ভাই বোনের মধ্যে ডিকেন্স ছিলেন দ্বিতীয়। বাবা নৌবিভাগের সামান্য কেরাণী ছিলেন। বিরাট সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। দেনার দায়ে তাঁকে জেলে যেতে হয় এবং বাড়ির মালপত্র ক্রোক করা হয়। এর ফলে ছোট বেলায় ক'বার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় ডিকেন্স এর। বার বছর বয়স থেকেই জীবন সংগ্রাম শুরু হয় ডিকেন্স এর। বাধ্য হয়ে জুতোর কালির কারখানায় কদর্য পরিশেষে চাকরি নিতে হয়। মাঝে মাঝে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে লেখাপড়ার সুযোগ মিললেও চার্লস ডিকেন্স বেয়ারা কেরাণী, পার্লামেন্টে কোর্ট রিপোর্টার, সাংবাদিকতা, সম্পাদক রূপে চাকরি জীবন অতিবাহিত করেন। সাংবাদিকতা সূত্রে লন্ডনের বিখ্যাত পত্রিকা 'মর্নিং ক্রনিকল'-এ চাকরির সময় থেকে তাঁর লেখালেখির জীবন শুরু হয়। সমসাময়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনের অন্যায়, অপরাধ, অসুন্দর দিকগুলো তাঁর নানা প্রবন্ধে, গল্পে, উপন্যাসে, রম্য গল্পে প্রতিফলিত হয়। মনীষী বার্নার্ড শ'র মতে, ইংরেজী সাহিত্যে একমাত্র ডিকেন্স-এর রচনায় তাঁর সময়ের সামাজিক অনাচার ও অশুভ দিকগুলোর দুঃসাহসী প্রকাশ ঘটেছিল।
আলমগীর জলিল- জন্ম ১৪ই মার্চ ১৯২৮, বৃহত্তর রাজশাহী জেলার নওগাঁর মথুরাপুর গ্রাম (মাতুলালয়ে)। লেখাপড়া : বি.এ (পাস), ১৯৫১; এম-এ (বাংলা), ১৯৫৭; ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন ১৯৫৫। বাংলা একাডেমীর রিসার্চ স্কলার হিসেবে সাড়ে তিন বছর ধরে “উত্তরবঙ্গের লোকসাহিত্য” বিষয়ে পিএইচ.ডি কোর্সের অভিসন্ধর্ভ রচনা করেন। বাংলা একাডেমী থেকে উপ-পরিচালক হিসেবে ১৯৮৮ সালে অবসর গ্রহণ। তারপর তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। প্রথম লেখা কবিতা ছাা হয় আজাদ-এর ‘মুকুলের মহফিল’-এ এবং কলকাতার শিশু সওগাত-এ ১৯৪৫-৪৬ সালে। তারপর থেকে কলকাতা ও ঢাকার নানা পত্রিকায় অজস্র লেখা প্রকাশিত। “২১শের সাহিত্য সঙ্গ” কর্তৃক “কবিরত” উপাধি লাভ (১৯৪৭)। প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, গান, নাটক, ছড়া, গল্প, গবেষণাধর্মী রচনা, অুবাদ সাহিত্যের বিবিধ শাখায় তাঁর বিচরণ। ইংরেজী ও বাংলা দুই ভাষায় লিখে থাকেন। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্যে “কায়কোবাদ সাহিত্য মজলিস” কর্তৃক “দেওয়ান আব্দুল হামিদ” সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত।