বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পৃথিবীর একমাত্র নেতা, যাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পর তাঁকে ঘিরে হাজার হাজার কবিতা, শত শত গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে এবং এখনো তাঁকে নিয়ে কবি-লেখক-গবেষকগণের লেখা চলমান রয়েছে।
২০২০-২০২২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালিত হয়েছে। সরকারে পৃষ্ঠপোষকতায় ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ এবং ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, গবেষণার সংকলন প্রকাশ করা। সরকারি উদ্যোগের আগেই আগামী প্রকাশনী ও বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ এর যৌথ উদ্যোগে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফফার চৌধুরীর নেতৃত্বে খ্যাতিমান লেখক ও গবেষকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে, বঙ্গবন্ধু: শতবর্ষে শতপ্রবন্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: শতপ্রবন্ধ, বঙ্গবন্ধু: শতবর্ষে শতকবিতা, বঙ্গবন্ধু: শতবর্ষে শতগল্প, একাত্তরের ঐতিহাসিক মার্চ: শতপ্রবন্ধ, পঁচাত্তর ট্র্যাজেডি: রক্তরঞ্জিত শতপ্রবন্ধ এবং শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর শতভাষণ’সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই।
আমাদের বঙ্গবন্ধু: নির্বাচিত কিশোরগল্প সংকলনে ৭১ জন লেখকের গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংকলনে বঙ্গবন্ধুর জীবনের বহুমাত্রিক দিকের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে গল্প লিখেছেন গল্পকাররা।
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আত্মত্যাগের মহিমা অনুধাবনে গ্রন্থভুক্ত গল্পগুলো কিশোর পাঠকচিত্তে নতুন উপলব্ধি জাগ্রত করবে। জাতির পিতার জীবনাদর্শে তারা নিজেদের গড়ে তুলবে, দেশকে ভালোবাসবে।
আনােয়ারা সৈয়দ হক মাত্র বারাে বছর বয়সে হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম। সেই থেকে কোনােদিন তার লেখা বন্ধ হয় নি। মুক্তিযুদ্ধের। সময় যখন তার মুখ ছিল বন্ধ এবং তিনি। পাকিস্তানি মেডিক্যাল কোরে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তখনাে তিনি লিখে। গেছেন বন্দী জীবনের দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা। সেই সংগ্রাম, সেই নীরব অশ্রুপাত, স্বামী কবিসব্যসাচী সৈয়দ শামসুল হক-কে নিরাপদে দেশের বাইরে পাঠাবার এবং সফল হওয়ার যে ইতিহাস মূলত পরবর্তী জীবনে তাঁকে জীবন সম্পর্কে, মানুষের বেঁচে থাকা সম্পর্কে, বন্দী মানুষের। মুক্তিসংগ্রাম সম্পর্কে শিখিয়েছে অনেক। নিরন্তর সাহিত্য রচনার ফলশ্রুতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা এবং পদক। তার। ভেতরে অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, চাদের হাট পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি কবির চৌধুরী শিশু সাহিত্য পুরস্কার, ইউরাে পুরস্কার, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, পদক্ষেপ সম্মাননা, মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ইত্যাদি। বিশেষ করে ২০০৯ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং দু’হাজার উনিশ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।