মুর্শিদাবাদের বড়নগরের শাসক রাজা উদয়নারায়ণ। প্রথম জীবনে সামান্য এক দেওয়ানরূপে তিনি নবাবের অধীন ছিলেন। তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে নবাব তাঁকে বড়নগরসহ ভাগীরথীর দুই তীরের শাসন ভার দেন। এবং এর জন্য নবাব কখনও তাঁর কাছ থেকে শুল্ক বা কর আদায় করতেন না। রাজা উদয়নারায়ণ নিজের নিয়মে শাসন করতে লাগলেন তাঁর সাম্রাজ্য। কিন্তু গোল বাঁধল অন্য জায়গায়। প্রজারা কর দিতে অস্বীকার করায় কোষাগারে টান পড়ল। নবাবকে তাঁর সমস্যার কথা জানালে, নবাব তাঁর বাহিনীর দুজন অত্যন্ত দক্ষ সেনাকে বাহিনী সহ পাঠালেন বড়নগরে। দক্ষ হাতে তারা দমন করল রাজ্য অভ্যন্তরের বিদ্রোহ। কিন্তু নবাবের দরবারে আর ফিরে যাওয়া হল না গোলাম মহম্মদ ও তার ছায়ানুচর কালিয়ার। কিন্তু কেন তারা নবাবের আদেশ অগ্রাহ্য করে রয়ে গেল এক ক্ষুদ্র গণ্ডির শাসকের অধীনে? দামাল, অত্যাচারী গোলাম কার মায়ায় জড়িয়ে পড়ে শান্ত নিস্তরঙ্গ জীবনের স্বপ্ন দেখতে লাগলেন? বিদ্রোহ কি সেখানেই থেমে গেল নাকি এর ফল হল সুদূরপ্রসারী? প্রীতম কে? পরবর্তী জীবনে নবাবের রোষে কুপিত হলেন উদয়নারায়ণ। কেন তাঁকে দমন করার জন্য নবাবের সাথে হাত মেলালেন দেশীয় রাজারা? বড়নগর ঠিক কবে থেকে কী কারণে রানি ভবানীর নামে পরিচিত হতে লাগল? সকল প্রশ্নের উত্তর রয়েছে এই উপন্যাসে। পুরোপুরি সত্য নয়, ইতিহাসকে আশ্রয় করে এক বিস্মৃতপ্রায় চরিত্রকে মান্যতা দেওয়ার চেষ্টামাত্র৷