বাংলাদেশে সিনেমা কিন্তু খুব কমই বানানো হইছে। ১৯৫৬-২০০৬, এই ৫০ বছরে ২৪৩২টা বাংলাদেশি সিনেমা বা ফিচার-ফিল্ম রিলিজ হইছে সিনেমা হলগুলাতে। (বাংলাদেশের চলচ্চিত্র, পাঁচ দশকের ইতিহাস, ২০১০)। গড়ে ধরেন, প্রতি সপ্তাহে একটার বেশি সিনেমা রিলিজ হয় নাই। বাজারের কথা যদি ধরেন, ২০১৮ সালে হলিউডের বিজনেস সাইজ ছিল ১১ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার, বলিউডের ২.৩২ ট্রিলিয়ন (উইকিপিডিয়া), আর বাংলাদেশের কোন ডাটা নাই। কিন্তু ২০১৮ সালে রিলিজ হইছিল ৬৩টা সিনেমা, হিসাব-টিসাব বাড়ায়া গড়ে ১ কোটি টাকা ধরলেও ৬৩ কোটি টাকার মার্কেট, ১ কোটি ইউএস ডলারও হয় না, বিলিয়ন-ট্রিলিয়নের হিসাব তো অনেক পরে।... তারপরে পুরষ্কার-টুরষ্কার পাওয়া বা সেনসেশনের কথাও যদি বলেন, এমন ৪/৫টা বাংলাদেশি-সিনেমার নাম বলাটাও তো কঠিন, যেইগুলা দুনিয়ার সিনেমা ইতিহাসের কথা বলতে গেলে আসতে পারে। মানে, বিজনেস বলেন আর আর্ট-কালচার বলেন, যে কোন প্যারামিটারেই বাংলাদেশি-সিনেমার কোন 'গৌরবোজ্জ্বল' অবস্থা নাই, কোনদিন তেমন একটা ছিলও না। কিন্তু আর্টের বাইরেও এন্টারটেইনমেন্টের মিডিয়াম হিসাবে সিনেমা তো ইর্ম্পটেন্ট একটা জিনিস, এবং বাংলাদেশের মানুশ খরচও কম করেন না এন্টারটেইমেন্টের পিছনে; তো এই কারণে বাংলাদেশি সিনেমা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ হয়া উঠার সম্ভাবনার ভিতরে ছিল, এখনো আছে। এখন বাংলাদেশি সিনেমা নিয়া কথা বলার সবচে বড় মুশকিল হইলো, ইনফরমেশন খুব বেশি নাই। সরকারি, বেসরকারি ডেটাবেইজে সিনেমার নাম-টাম বাদে সিনেমার তেমন কোন ইনফরমেশন-ই পাইবেন না। বই বা লেখাপত্রও কমই। (বেশিরভাগ সোর্সগুলাতেই আবার ইন্ডিয়ার বাংলা-সিনেমার লগে মিক্স কইরা ফেলা হয়। ‘বাংলাদেশি’ বইলা ক্যাটাগরিটাই মোটামুটি নাই! মিসিং!) যেমন, কতো টাকা বাজেট ছিল, কতো টাকা ইনকাম হইছে, কয়টা হলে চলছে, কাহিনি কি ছিল বা ইমপ্যাক্ট কি রকম… এইরকম কিছু পাওয়া মুশকিলই। আর ইনফরমেশন যেহেতু ‘জ্ঞান’ না, এই কারণে কেউ একসাথে করার বা রাখার কথা ভাবেন নাই মনেহয়। :( কিন্তু ‘জ্ঞানে’র আলাপ করতে গেলেও ইনফরমেশন কম-বেশি তো লাগে আসলে। তো, এই কম ইনফরমেশনের বেসিসেই বাংলাদেশি-সিনেমার হিস্ট্রি নিয়া কিছু কথা বলতে চাইতেছি।