অনেকদিন আগের ট্রান্সলেশন এইগুলা। ২০০৬/৭ সালের দিকে ঘটনা। ইন্টারভিউগুলা বাংলায় তরজমা করা হইছিল, পড়াশোনার জায়গা থিকাই যে, ইংলিশে পড়লেও মাথার ভিতরে তো একভাবে বাংলা কইরা নিতে হয়; তো, তরজমা কইরা ফেললেও তো হয়! কিন্তু একটা তরজমা কতোটা ভালো বা খারাপ, সেইটা ভাষার দখলের বাইরেও টেক্সটের আন্ডারস্ট্যান্ডিংটার উপরে ডিপেন্ড করে অনেক বেশি। এইখানে এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গাটা বেশ নড়বড়েই ছিল তখন। সেই বেইজটারে খুব বেশি ইম্প্রুভ না করা গেলেও অনেক কারেকশন করা গেছে এখন। বাংলাতে হয়তো পড়ার মতো একটা জায়গাতে আনা গেছে।
এইটা নিয়া টেনশন করার কারণ হইলো, ফুকো’র কথা প্যাঁচানো না, বরং উনি যেই আলাপগুলা করতে চান সেইগুলা ভাষার ফ্লেক্সিবিলিটর ঘটনাও বেশিরভাগ সময়, যার ফলে ট্রাডিশনাল শব্দগুলা ইংরেজিতে বা বাংলাতে যেই মিনিং নিয়া দাঁড়ায়া আছে, সেই জায়গাগুলা দিয়া পড়তে গেলে ভুলভাবেই পড়া হবে আসলে।
এর সাথে রিলিভেন্ট একটা জিনিস হইলো, ইংরেজিতেও ফুকোর কথা-বার্তার যেই কমপ্লেক্স স্ট্রাকচার সেইটারে ভাইঙ্গা হয়তো ছোট ছোট বাক্য করা যাইতো, কিন্তু সেইটা মোর রিডেবল হইলেও চিন্তার জায়গাটাতে অনেককিছুই স্যাক্রিফাইস করা লাগতো।…
তো, এইসব কিছু বলার একটাই কারণ, ফুকো নামটা উচ্চারণ করাটা যতোটা সহজ, উনার কথাগুলা উনার নামের বানানের মতোই, সেন্স মেইক করার জায়গাটাতে, একটু জটিল। এইটা উনার কথা-বলার একটা সিগনেচার। আমার তরজমার বাইরেও এইরকম জায়গাগুলা আছে।
আর ব্যাপারটা এইরকম না যে, এইগুলা উনার বেস্ট ইন্টারভিউ। বরং এইগুলা অনেকবেশি এভেইলবেল। কিন্তু এই তিনটা মোটামুটি উনার কাজকামের ব্যাপারে ইন্ট্রুডাক্টরি টাইপের বা সামারি টাইপের কথা-বার্তা, যে উনি কি কি করছেন বা কি কি করতে চান। তো, এই জায়গা থিকা এই ইন্টারভিউ’র বইটারে উনার কাজকামের ব্যাপারে প্রাইমারি একটা টেক্সট হিসাবে পড়া যাইতে পারে মনেহয়।