‘হ্যালো আমরিন’ গল্পটা সত্য নয়। তার মানে হল গল্পটা কাল্পনিক। চরিত্রগুলো কাল্পনিক। এ গল্প কোন ইতিহাস নয়। এ গল্পাকার লেখাটাকে তাহলে কি নামে ডাকা যেতে পারে? গল্প? উপন্যাস? স্যাটায়ার? গুরুগম্ভীর কোন দার্শনিক ভাবনা? নাকি মিশ্র- জনরা? এ দায়িত্ব আমি সবিনয়য়ে পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম। তবে মিথ্যে সাজানো এ গল্পের মধ্যে কোন সত্য প্রকাশিত হতে পারে বৈকি। সাহিত্য সে কারনেই সমাজের দর্পণ কিন্তু বাস্তব ঘটনা নয়। মিথ্যা গল্পের ভেতরে যে জীবন প্রবাহ থাকে তা তো মিথ্যা নাও হতে পারে। ইতিহাস সত্য হয় কিন্তু মিথ্যে গল্পের ভেতরে ইতিহাসের চেয়েও গভীর কোন সত্য লুকিয়ে থাকে।
মূলত এই গল্পের প্লট আবর্তিত হয়েছে অসম বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আমরিন নামের দুজন মানব মানবীর স্নেহ, শ্রদ্ধা, প্রেম, ভালোবাসার এক মনোরম প্রেমময় বহুমাত্রিক সম্পর্কের মিশেলে। গল্পের সে মূল প্লট-স্রোতের সাথে শেওলার মতো ভেসে এসেছে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষা, নাগরিক সমাজ ও আধুনিক শহুরে মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তা চেতনা। এর সাথে মিশে আছে জীবন দর্শনের নানাবিধ প্রশ্নের আলোচনা। কিন্তু তাই বলে এটা পুরোপুরি কোন দর্শন শাস্ত্র নয়।
কিন্তু ‘হ্যালো আমরিন’ কিছুটা হলেও ফেনোমেনোলজিক্যাল ব্যাখ্যান তো বটেই।