১.আমি অধম আখতার (রহিমাহুল্লাহ) আরজ করছি যে, বর্তমান যুগে দ্বীনদার, নেককার, মুত্তাকী, এমনকি তরিকতের সকল সালেকীনের জন্যও মহিলাদের ফিতনার তুলনায় দাড়ি-মোচ বিহীন সুশ্রী বালক- তরুণদের ফিতনা আরো বেশি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর যেহেতু সুশ্রী বালক ও তরুণদের সাথে কুকর্মে লিপ্ত হওয়ার পথে বাঁধা-বিঘ্ন কম সেহেতু শয়তান দ্রুত এবং খুব সহজেই মানুষকে এ কুকর্মে লিপ্ত করতে পারে। পক্ষান্তরে গাইরে মাহরাম বা বেগানা নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত কুদৃষ্টির অপরাধই সংঘটিত হয়ে থাকে ৷ কারণ তাদের সাথে সরাসরি কুকর্মে লিপ্ত হওয়ার পথে বাঁধা-বিঘ্ন থাকার কারণে দ্রুত ও খুব সহজে শয়তান মানুষকে তাদের সাথে কুকর্মে লিপ্ত করতে পারে না।
২. গাইরে মাহরাম মহিলা ও সুশ্রী বালক-তরুণদের সাথে যে কোন ধরণের সম্পর্ক রাখার ভয়াবহ ক্ষতি ও কুফল বর্ণনাতীত। তাদের দিকে তাকানো, মনে আনন্দ লাভের জন্য তাদের সাথে কথা বলা, একান্ত নির্জনে তাদের সাথে বসা ও সময় কাটানো, তাদের মনোরঞ্জনের জন্য তাদের পছন্দের পোষাকে নিজেকে সাজানো এবং মোলায়েম ভাষায় ও মিষ্টি সুরে কথা বলা ইত্যাদির পরিণামে যে সকল ভয়াবহ ক্ষতি ও কুফল পয়দা হয় এবং যে সকল বালা- মুছিবতের সম্মুখীন হতে হয় তা লিখে শেষ করার মত ভাষা ও কলমী যোগ্যতা আমার জানা নেই।
৩. হারাম প্রেমাসক্তি ও পরকিয়া আল্লাহ তায়ালার একটি আযাব। যেভাবে মানুষ জাহান্নামের মধ্যে জীবন ও মরণের মাঝখানে এক যন্ত্রণাদায়ক আযাবের মধ্যে গ্রেফতার থাকবে।
যেমন আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, অতঃপর সেখানে (জাহান্নামে) তারা বাঁচবেও না এবং মরবেও না। জাহান্নামীরা জীবন-মরণের মাঝখানে এক যন্ত্রনাদায়ক অবস্থার মধ্যে ছটফট করতে থাকবে।
তদ্রূপ কুদৃষ্টি করার পর মানুষ হারাম প্রেম-পরকিয়ার আকর্ষণে আক্রান্ত হয়ে রাত-দিন ছটফট করতে থাকে। সর্বদা অস্থিরতা ও অস্বস্তির আগুনে জ্বলতে থাকে। আরামের ঘুম থেকেও মাহরূম হয়। দ্বীন-দুনিয়া সবই ধ্বংস হয়। অবশেষে পাগলা গারদে ভর্তি হতে হয়। বর্তমানে পাগলা গারদের শতকরা নব্বই জনই হারাম প্রেম-পরকিয়ার রোগী।
Title
কুদৃষ্টি ও অবৈধ প্রেম- পরকীয়ার ভয়াবহ পরিণতি ও প্রতিকার