শৈশব-কৈশোরের গ্রাম। গ্রামকে নিয়ে বেড়ে ওঠা। গ্রামের মরমে ভেসে যাওয়া জীবন স্রোতকে মনে করা বহুকথা। স্মৃতির পালকে ওড়ে আসে সেই কথা। অমৃত কথা। খন রঞ্জন রায় গ্রামের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য বন্ধনকে জীবন্ত মানুষ-হিসাবে আবির্ভূত করেন। স্মৃতিকথনে নানা বিষয় ও রুচির সম্মিলন করেন এই বইয়ের প্রতিটি লিখায়। আবেগ ও চিন্তার শিল্পসৌকর্য পাঠককে স্বপ্নচারী করে তুলবে। অনুভব ও স্বপ্নের উচ্চকণ্ঠ পাঠরসে নিয়ে যাবে হৃদয়গ্রাহী এক বর্ণনাশৈলীতে। এখানে প্রত্যেক গদ্য লেখকের জীবন থেকে বেরিয়ে সন্ত হওয়ার ভাব। যা পাঠককে এক নস্টালজিয়ায় নিয়ে যাবে। . খন রঞ্জন রায় . ১৯৬৭ সালের ২০ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের ভোলাচং-এ জন্ম। বদলাবদলীর বাউ-ুলে ভাবনা নিয়ে লেখাপড়া করেছেন নবীনগর ইচ্ছাময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, নবীনগর সরকারি কলেজ, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি-ঢাকা, ভাউয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়ে কর্মনির্ভর করার প্রস্তাবক, নির্ভীক-নিরলস-আদর্শের কর্মী। গত ত্রিশ বছর ধরে এই ভাবনা নিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ-নিবন্ধ-কলাম লিখে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতির স্বরূপ সন্ধান করছেন। যুক্তি-পরামর্শ তুলে ধরে পরিবর্তনের আকুতি জানাচ্ছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আন্দোলনী সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন। সময়ে সময়ে সরকারের নীতি-নির্ধারণীমহল বরাবরে সুনির্দিষ্ট শিক্ষা প্রস্তাব, দাবি-সুপারিশ উপস্থাপন করছেন। সরকার এবং কিছু সংস্থা উপস্থাপিত প্রস্তাবনা নীতিগতভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। সরকারি চাকরির অবসর সময়ে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করেন। ওতপ্রোতভাবে জড়িত শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবাধর্মী সংগঠনের সাথে। ঠাকুরদাদা-জগৎ চন্দ্র রায় ছিলেন রেলওয়ের একজন পদস্থ কর্মকর্তা। বাবা- প্রয়াত সাধন চন্দ্র রায়, মা- প্রয়াত শান্তি বালা রায়। স্ত্রী- মিত্রা দেব আর একমাত্র সন্তান ত্রিয়মা রায়’কে নিয়ে শৌখিন সংসার।