রুদ্রাক্ষর কোনো হাওয়াই মিঠাই নয়। যে কেউ চাইলেই খেয়ে ফেলতে পারে না। রুদ্রাক্ষর বারবার আসে।ওকে আসতে হয়।ও হচ্ছে লোহা। কেউ খেলেও হজম করতে পারে না। আগুনে পুড়ে শক্ত করা যায় কিন্তু নিঃশেষ করা যায় না। যে দেশে অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে রাষ্ট্রাধিকার বিক্রি হয় সে দেশে কিসের সমতা চান আপনি? রুদ্রাক্ষর কাউকে অসম সমতা দেয় না। রুদ্রাক্ষরের কাছে বাংলা ও বাংলাদেশ প্রাণের চেয়েও দামী। রুদ্রাক্ষরকে আসতে হয় অগ্নিবর্ষণ হয়ে। যদি প্রশ্ন করি এ স্বাধীনতা দিয়ে কি হবে? নিম্নবিত্তরা না খেতে পারছি, না পড়তে পারছি। নামে মাত্র স্বাধীন হয়ে কি করবো আমরা? জানি আপনার কাছে উত্তর নেই। রুদ্রাক্ষর উত্তর খুঁজে চলেছে। মূলত এইজন্যই এই বাংলার বুকে অগ্নির মতো রুদ্রাক্ষর জ্বলছে। দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব হবার অধিকার কি গরীবরা রাখে না? নাকি নেতার চামচাদের জন্যই ছাপোষা সকল সম্মাননা কিংবা অর্জন লিখে রাখা হয়েছে। এত এত মেধাবীর লাশ ঝুলে আছে যে বেকারত্বের রশিতে তা কি কেউ গুনে দেখেছে? রুদ্রাক্ষর তা দেখাবে বলেই জন্মেছে। আমি কেন চাকুরী করতে যাবো? কিসের জন্য আমি কষ্ট করে অর্ধজীবন পড়ালেখা করে নাম মাত্র বেতনে চাকুরী করবো? রুদ্রাক্ষর প্রশ্ন তুলতে জানে। জানে কিভাবে যুদ্ধমানব হতে হয়। রুদ্রাক্ষর জানে দেশ স্বাধীন তারই মতো কোনো এক রুদ্রাক্ষর করেছিল। এ বাংলা কার!বাংলাকে বিবস্ত্র করা হচ্ছে কেন! এ দায় কার! আমার! আপনার! সবার। রুদ্রাক্ষরের পক্ষে একা আর কতটা সম্ভব? চলুন আমরা রুদ্রাক্ষর হই। আমাদের বিবেক কথা বলুক। সেস্নাগান তুলুক, মশাল জ্বালুক। সিংহের মতো করে এই পতাকা জয় করার ইতিহাস আপনারা ভুলে গেলেও রুদ্রাক্ষর ভোলে না। রুদ্রাক্ষর কোনো মজলুম নয়। রুদ্রাক্ষর মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার এক স্পষ্ট সংবিধান। রুদ্রাক্ষর প্রেমিক, রুদ্রাক্ষর কবি, রুদ্রাক্ষরই হচ্ছে বাংলা, বাংলাদেশ এবং আগামী। রুদ্রাক্ষর মুলত একটা বাস্তববাদী ও প্রতিবাদী উপন্যাস। যার প্রত্যেকটা পৃষ্ঠায় নিজেকে খুঁজে পাবেন আশা করি। সব মিলিয়ে সবার পাঠপ্রতিক্রিয়া জানার এক অদম্য মনোবাসনা রেখে দিলাম।