বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবনালেখ্য প্রকাশের সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে ‘অনুর গল্পে নজরুল ও নারী’ গ্রন্থে বাংলাসাহিত্যের অনন্য কর্নধার, সূফি রচয়ীতা, বাংলাদেশের জাতীয় কবি ও বিখ্যাত কবি-গীতিকার ও কথাসাহিত্যিক কাজী নজরুল ইসলামের প্রেমভিত্তিক জীবনালেখ্য চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। এককথায় এই গ্ররন্থ রচিত ‘অনুর গল্পে নজরুল ও নারী’ হতে চলেছে বাংলা সাহিত্যের নতুন সংযোজন। য কবির কবিতা পাঠে হৃদয়ে স্পন্দন জাগে, রক্তে তোলে শিহরণ; তিনি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি বিদ্রোহ ও তারুণ্যের কবি। তাঁর লেখনীতে লুকিয়েছিল সমগ্র ভারতবর্ষের মানুষের মুক্তির সংগ্রামের বাণীÑ যা প্রকাশ পেয়েছিল সাবলীলভাবে; অবশ্যি এ জন্যে তাঁকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। অন্যায় অবিচার জুলুম ও শোষণের বিরুদ্ধে তাঁর কবিতায় ধ্বনিত হয়েছে প্রচ- বিদ্রোহ। তিনি শুনিয়েছেন সংগ্রাম ও বিপ্লবের কথা। জাতিকে দেখিয়েছিলেন স¦াধীনতার স¦প্ন। পচনধরা প্রথাগত সমাজকে ভেঙেচূড়ে স¦াস¦্যকর নতুন এক সমাজ নির্মান করাই তাঁর স¦প্ন ছিলো। তাই তিনি বিদ্রোহ করেছিলেন অন্যায়, অসত্য, শোষণ-নির্যাতন আর দুঃখ-দারিদ্রের বিরুদ্ধে। তাঁর সংগ্রাম ও কর্মময় জীবনের প্রতিটি ধাপে; পলে পলে এসেছিল প্রেম- সেই প্রেম মহান আল্লাহ্’র ঐশীশক্তি বলে কবিতাকে করেছে মহাকাব্যিক মহাসমুদ্র, একেকটি কবিতা হয়ে উঠেছে গীতিময় ছান্দিক জলরাশি যার বিস্তৃতি ঘটেছে উপমহাদেশ থেকে ছাপিয়ে মহাবিশ্বে, তিনি হয়ে উঠেছেন একজন ‘বিশ্বমহাকবি’ বা ‘বিশ্বমহাপ্রেমিক’। তাঁর এই প্রেমময় জীবনে ধূমকেতুর মতো বাংলাসাহিত্য আবির্ভাব ঘটিয়েছেন। অনামিকা চৌধুরী তারই প্রেমকাহিনির আদ্যোপান্ত তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
অনামিকা চৌধুরী; জন্ম- ২৫ জুলাই। পিতামৃত- শেখ মোঃ খাইরুল ইসলাম খান, মাতা- রেজিনা খাতুন, জন্ম- পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানায়। তিনি ছোটবেলা থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা করে আসছেন। আবৃত্তি, নাটক রচনা ও অনুষ্ঠান উপস্থাপনাসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় বিচরণ করেছেন তিনি। ভালোবাসেন সৃজনশীল কর্মকা-ে যুক্ত থাকতে। বিখ্যাত, প্রখ্যাত খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকদের দেখেন শ্রদ্ধার সাথে। তাঁর সাহিত্যচর্চা গতানুগতিক ধারা থেকে ভিন্ন। অত্যন্ত বিনয়ী এই কবি ও লেখিকাকে বলা হয় ‘মানবিক চেতনার কবি’, তিনি প্ল্যানচেট নিয়ে গবেষণা করছেনÑ তিনি ‘বাংলাদেশের একমাত্র প্ল্যানচেট লেখিকা’। মানবিক ও সামাজিক কর্মকা-: তিনি সমাজে সুস্থ মানুষদের যথাসাধ্য সাহায্য করে থাকেন। মানবতাবোধই তাঁকে প্রতিনিয়ত মানুষের সাহায্যে প্রলুব্ধ করে। তাঁর এই উৎকর্ষতা ও দীনতা সমাজের মানুষকে আকৃষ্ট করে, সমাজের কাঙ্খিত শৃঙ্খলায় তিনি সবিশেষ ভূমিকা রেখে থাকেন। পেশা: পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। সাহিত্য সংগঠন: তিনি ধ্রুপদী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বাংলাদেশ-ভারত সাহিত্য পরিষদ- এর সাহিত্য সম্পাদক, দেবীগঞ্জ সাহিত্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক পদে যুক্ত আছেন।