বই প্রসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ-যুগে দাঁড়িয়েও শিক্ষাব্যবস্থায় শেষ ভরসা শিক্ষক। কাজেই তাঁর দায়মুক্তি নেই। সদা সতর্ক থাকতে হয় তাঁকে। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সতত সক্রিয় থাকতে হয় তাঁকে। চলতে হয় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। সারগর্ভ অতীতের উপর দাঁড়িয়ে বলতে হয় আজকের ও আগামি দিনের কথা। চলতে হয় আগে আগে। প্রাবন্ধিক ও আনখশির শিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির তাঁর আবাহনী ও উদ্দীপনামূলক ব্যতিক্রমী বইটিতে এ-কথাই বলতে চেয়েছেন যে, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় শিক্ষকতা আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষকদের হাত ধরেই সূচিত হয় সমাজের ভেতরকার কাঙ্খিত বড়ো পরিবর্তন। কাজেই, পরিবর্তনের বড় কারিগর, বড় শিল্পী প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সম্মানিত শিক্ষকগণ। অপ্রিয় হলো সত্য যে, শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতার দায় ও শেষ পর্যন্ত এসে দাঁড়ায় শিক্ষকদেরই দোরগোড়ায়। কাজেই শিক্ষককে হতে হয় অধিকতর দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতন। শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কের উপর যাঁর কাজ তাঁকে জানতেই হয় কোন্ নেহাইয়ের উপর রেখে কেমন শিক্ষার্থীকে, কোন্ প্রবণতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে কেমনতর আকৃতি-প্রকৃতি দিতে হবে। এবং শিক্ষার্থীকে উৎসাহ দানের অপরিহার্যতা এখন মনস্তত্ত্বের প্রতিষ্ঠিত সূত্র। শিক্ষককে শিক্ষার্থীর তাবৎ বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারনা রাখতেই হয়। শিক্ষার্থী কী শিখছে বা শিখছে-না তা নিয়ে একটা মাথাব্যথা শিক্ষকের থাকা চাই। তবেই যোগাযোগের কাঙ্খিত সড়কটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। আর এ কাজটি সম্ভব করে তুলতে পারেন কেবল শিক্ষক। শিক্ষক বৈ অন্য কেউ নন। একজন অঙ্গীকৃত শিক্ষক হিসেবে এ-কাজটির কথা বিষয়নির্বিশেষে প্রত্যেক শিক্ষককেই বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক-প্রশিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির। পরম অন্তরঙ্গভাবে আলাপচারিতার ঢঙ্গে বলেছেন। কারণ তিনি জানেন, সকল শিক্ষকের আন্তরিকতাপূর্ণ সমবায়িক প্রচেষ্টার ভেতর দিয়েই কেবল দেশের মানুষের সামগ্রিক জীবনাচরণে একটি বড় পরিবর্তন সূচিত হতে পারে, শিক্ষাঙ্গন তাঁর কাঙ্খিত মান অর্জন করতে পারে, বাঞ্চিত উচ্চতায় উপনীত হতে পারে। এ-গ্রন্থের লেখক বারবারই বলেছেন, শিক্ষকের কাজ অনুপ্রেরণা জোগানোর কাজ, সচেতনতা জাগানোর কাজ। শিক্ষার্থীর সামর্থ্য ও সক্ষমতার জয়গান করা শিক্ষকের কাজ। নিরন্তর সাধনা সামর্থ্যকে শক্তি যোগায়। শিক্ষককেই হতে হয় সবচেয়ে বড়ো শিক্ষার্থী। জীবনভর শিক্ষার্থী। সাধনায়, সামর্থ্যে ও সক্ষমতায়। সে-সব কথা এ-বইয়ের শব্দে শব্দে বিধৃত হয়েছে। বিস্তৃত হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকেও যে শিক্ষকবান্ধব হতে হবে সে-কথাও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন লেখক। একজন খাঁটি শিক্ষক সর্বত্র নন্দিত। একজন নন্দিত-অভিনন্দিত শিক্ষক ও লেখক শামসুদ্দীন শিশির। তাঁর একান্ত অভিজ্ঞতাসঞ্জাত নির্দেশনামূলক কথামালা 'আপনাকেই বলছি স্যার' সকল শিক্ষকের নিত্যপাঠ্য হোক। জীবনচর্যার অনিস্তার্য বাস্তবতা হোক। আলো আসুক। পরিবর্তন সূচিত হোক। মুজিব রাহমান কবি, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিকবই প্রসঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ-যুগে দাঁড়িয়েও শিক্ষাব্যবস্থায় শেষ ভরসা শিক্ষক। কাজেই তাঁর দায়মুক্তি নেই। সদা সতর্ক থাকতে হয় তাঁকে। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় সতত সক্রিয় থাকতে হয় তাঁকে। চলতে হয় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। সারগর্ভ অতীতের উপর দাঁড়িয়ে বলতে হয় আজকের ও আগামি দিনের কথা। চলতে হয় আগে আগে। প্রাবন্ধিক ও আনখশির শিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির তাঁর আবাহনী ও উদ্দীপনামূলক ব্যতিক্রমী বইটিতে এ-কথাই বলতে চেয়েছেন যে, অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় শিক্ষকতা আজকের দিনে সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষকদের হাত ধরেই সূচিত হয় সমাজের ভেতরকার কাঙ্খিত বড়ো পরিবর্তন। কাজেই, পরিবর্তনের বড় কারিগর, বড় শিল্পী প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সম্মানিত শিক্ষকগণ। অপ্রিয় হলো সত্য যে, শিক্ষাব্যবস্থার ব্যর্থতার দায় ও শেষ পর্যন্ত এসে দাঁড়ায় শিক্ষকদেরই দোরগোড়ায়। কাজেই শিক্ষককে হতে হয় অধিকতর দায়িত্ব ও কর্তব্য সচেতন। শিক্ষার্থীর মস্তিষ্কের উপর যাঁর কাজ তাঁকে জানতেই হয় কোন্ নেহাইয়ের উপর রেখে কেমন শিক্ষার্থীকে, কোন্ প্রবণতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে কেমনতর আকৃতি-প্রকৃতি দিতে হবে। এবং শিক্ষার্থীকে উৎসাহ দানের অপরিহার্যতা এখন মনস্তত্ত্বের প্রতিষ্ঠিত সূত্র। শিক্ষককে শিক্ষার্থীর তাবৎ বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারনা রাখতেই হয়। শিক্ষার্থী কী শিখছে বা শিখছে-না তা নিয়ে একটা মাথাব্যথা শিক্ষকের থাকা চাই। তবেই যোগাযোগের কাঙ্খিত সড়কটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। আর এ কাজটি সম্ভব করে তুলতে পারেন কেবল শিক্ষক। শিক্ষক বৈ অন্য কেউ নন। একজন অঙ্গীকৃত শিক্ষক হিসেবে এ-কাজটির কথা বিষয়নির্বিশেষে প্রত্যেক শিক্ষককেই বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক-প্রশিক্ষক শামসুদ্দীন শিশির। পরম অন্তরঙ্গভাবে আলাপচারিতার ঢঙ্গে বলেছেন। কারণ তিনি জানেন, সকল শিক্ষকের আন্তরিকতাপূর্ণ সমবায়িক প্রচেষ্টার ভেতর দিয়েই কেবল দেশের মানুষের সামগ্রিক জীবনাচরণে একটি বড় পরিবর্তন সূচিত হতে পারে, শিক্ষাঙ্গন তাঁর কাঙ্খিত মান অর্জন করতে পারে, বাঞ্চিত উচ্চতায় উপনীত হতে পারে। এ-গ্রন্থের লেখক বারবারই বলেছেন, শিক্ষকের কাজ অনুপ্রেরণা জোগানোর কাজ, সচেতনতা জাগানোর কাজ। শিক্ষার্থীর সামর্থ্য ও সক্ষমতার জয়গান করা শিক্ষকের কাজ। নিরন্তর সাধনা সামর্থ্যকে শক্তি যোগায়। শিক্ষককেই হতে হয় সবচেয়ে বড়ো শিক্ষার্থী। জীবনভর শিক্ষার্থী। সাধনায়, সামর্থ্যে ও সক্ষমতায়। সে-সব কথা এ-বইয়ের শব্দে শব্দে বিধৃত হয়েছে। বিস্তৃত হয়েছে। প্রশাসনিকভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকেও যে শিক্ষকবান্ধব হতে হবে সে-কথাও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন লেখক। একজন খাঁটি শিক্ষক সর্বত্র নন্দিত। একজন নন্দিত-অভিনন্দিত শিক্ষক ও লেখক শামসুদ্দীন শিশির। তাঁর একান্ত অভিজ্ঞতাসঞ্জাত নির্দেশনামূলক কথামালা 'আপনাকেই বলছি স্যার' সকল শিক্ষকের নিত্যপাঠ্য হোক। জীবনচর্যার অনিস্তার্য বাস্তবতা হোক। আলো আসুক। পরিবর্তন সূচিত হোক। মুজিব রাহমান কবি, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক