যোগ্য বাদশাহর উপযুক্ত অনুষঙ্গ যদি হয় জ্ঞানী, শক্তিশালী, যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী, তীক্ষ্ণ মেধাবী ও বুদ্ধিমান এবং দেখতে সুন্দর ও আকর্ষণীয় ; তবে অবশ্যই যুবক বাদশাহ ফালাক তাজ সমস্ত যোগ্যতার অধিকারী। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার রাজা। ইসলামী দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে তার সাম্রাজ্যে পূর্ণ রূপে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করাই তার প্রথম লক্ষ্য। যে লক্ষ্য ছুঁতে গিয়ে সম্মুখীন হতে হয় তাকে নানান বাধা-বিপত্তির। কিন্তু এই যোগ্য রাজার জীবনে যতটা প্রাপ্তি ততটাই অপ্রাপ্তি। মহা ক্ষমতাপন্ন বাদশাহ হয়েও সে অসহায় ছিল পূর্বে নিজের প্রাণঘাতক ও বিশ্বাসঘাতক ধর্মপ্রাণ বিবি মেহেরুনকে অপরিসীম ভালোবেসে। অথচ এই বিবির অসিলাতেই পুর্নবার আল্লাহর প্রতি সে ভরসা স্থাপন করতে পেরেছে। এককালে প্রাণাধিকা প্রিয় বিবির রূপ নয় বরং গুণ ও ব্যক্তিত্বের প্রণয়ে উন্মাদ হয়ে, তাকে অসম্ভব বিশ্বাস করার দায়ে পতনও ঘটতে যায় বাদশাহর। এবং বিবির চরম নির্বুদ্ধিতায় পিতৃসুখ থেকেও বঞ্চিত হতে হয় তাকে। এই প্রেমময় বিবির যন্ত্রণাদায়ক বিশ্বাসঘাতকতায় ধ্বংসপ্রাপ্ত বাদশাহ ফালাক তাজ দীর্ঘ ন'মাস নির্বাসনের পর একদিন কল্পনাতীত ফিরে আসে অবিশ্বাস্য বিধ্বংসী রূপে, অপরাধী বিবির জন্য আরও কঠিনচিত্তের হয়ে। তারপরই নেমে আসে বিশ্বাসঘাতক রানি মেহেরুনের জীবনে চরম দুর্দশা। যে দুর্দশাকে রানি শুরুতে মাথা পেতে গ্রহণ করলেও পরিশেষে রাজার প্রতিপক্ষ হয়েই রুখে দাঁড়ায় সে। ভালোবাসার ভিন্ন রূপ, অভিমানী অভিযোগ, দ্বন্দ-সংঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা, চক্রান্ত ও দ্বীন রক্ষা । এই সমগ্র চিত্রের এক জটিল অনুভব "সে যে দীপশিখা"।
ইসরাত জাহান দ্যুতির লেখালেখির সময়টা খু্ব দীর্ঘদিনের না হলেও তবে এই লেখালেখির সঙ্গে স্বল্প দিনেই তার সম্পর্ক অনেকটা গড়ে উঠেছে আত্মিক সম্পর্কের মতো। ২০২০ এর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তার প্রথম উপন্যাস 'প্রভাতকিরণ' প্রকাশ পায়। এরপর পাঠকদের মনে স্থান পেয়ে যান তিনি এই উপন্যাসের দ্বারাই৷ ফাইন্যান্স বিভাগে পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি লেখক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। ব্যক্তিগত জীবনের সুখ সমৃদ্ধির বাইরেও তিনি সুখ আর আনন্দ খুঁজে পান তার লেখা শব্দগুলোর মাঝে। শব্দগুলো থেকে একেকটা বাক্য তৈরি করে কয়েকটি কাল্পনিক চরিত্রের জীবনপ্রবাহের রূপ সৃষ্টিতেই তিনি পরিতৃপ্তি বোধ করেন।