মুঘল আমলে ইকলিম সোনাগাঁও এবং পরবর্তীতে রাজধানী ঢাকা শহরের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে নিবিড় সম্পর্ক অব্যাহত থাকার কারণে ও জনপদের মানুষজন ক্রমশই আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে থাকে। সভ্য ও শিক্ষিত সমাজ বিনির্মাণে বাড়তে থাকে শিক্ষাগ্রহণের আগ্রহ। একে একে প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে ধর্মীয় এবং আধুনিক ও সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সমাজ সংগঠকদের মন্ময় ইচ্ছা, কর্মকুশলতা, সাধারণ মানুষের দান এবং অভিভাবকদের দায়িত্বশীলতায় রায়পুরা উপজেলায় বহুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন শতাব্দী কাল ধরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে, তেমনি সে আলোয় অভিষিক্ত হয়ে বেড়ে উঠেছেন বহু গুণীজন ও কীর্তিমান মানুষ। তাদের অনেকেই আজ রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের মেধা-মননের আলো ছড়িয়ে জগৎ-সভ্যতাকে করেছেন পরিপুষ্ট। অপরদিকে জন্মের শেকড় ও জীবনবৃত্তের বিন্দু রায়পুরা উপজেলাকে করেছে গর্বিত। রায়পুরা উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী যেসব গুণী ও কীর্তিমান, অতীত ও বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দ্যুতিময় কর্ম-প্রভা ছড়িয়ে গেছেন এবং যাচ্ছেন, আজকের প্রজন্মের কাছে তাঁরা আলোর দিশারী। এ উপজেলার রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, গণ-অভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় পর্যায়ের সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে রায়পুরাবাসীর অবদান অনস্বীকার্য।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করা এ প্রজন্মের আধুনিক এবং সমসাময়িক কবি। সমান তালে লিখে যাচ্ছেন শিশু সাহিত্য। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লিখছেন। তার বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে। কিশোরগঞ্জের হোসেরপুর উপজেলায় এই প্রতিভাবান লেখকের জন্ম। প্রাইভেট কোম্পানির চাকরির সুবাদে থাকের ঢাকার মিরপুরে। দুই সন্তান সোহান হাসান ও রোহান হাসান এবং স্ত্রী শিউলি হাসান কে নিয়ে তার পৃথিবী। তিনি কাব্যশীলন সাহিত্য ওয়েবম্যাগের প্রকাশক ও সোহান বাংলা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা।