নিঃস্বঙ্গতায় বড় হয় টোকিওর এক রহস্যময় ছেলে ইউজি সাতোশি। যাকে দেখলে যে কেউ এক মোহে জড়াতে বাধ্য। জীবনের জটিলতায় চলে গিয়েছিল অন্ধকার পথে, বন্ধুত্ব হয়েছিল ভয়ংকর আসামীদের সাথে। ভাগ্যক্রমে কিছু মানুষ ওর জীবনে আসে, এনে দেয় আশার আলো। আসামী পরিণত হয় গোয়েন্দায়। বাংলাদেশি যুবক সাদাফ কারিম স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে যায় জাপানে। সেখানে ওর রেনা, এমি ও কহেই মিতসুবার সাথে বন্ধুত্ব হয়। সবশেষে ইউজি সাতোশি নামের সেই রহস্যময় সুদর্শন যুবকের সাথে বন্ধুত্বের মাধ্যমে একটি নতুন গ্যাঙের সূচনা হয়। যাদের মূলমন্ত্র ছিল, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না করার মনোভাব কাপুরুষের লক্ষণ' মধ্যযুগীয় বাংলার সমৃদ্ধ এক মহামূল্যবান লকেটের পিছনে লেগেছে কতগুলো মাফিয়া দল। ভয়ংকর মানুষগুলো খুন করতেও দ্বিধা করেনি। লকেটের প্রথম মালিক খুন হওয়ার পর তার বন্ধুর কাছে লকেটটি থেকে গেলে সে চেয়েছিল ভালো মিউজিয়ামে দিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস বিশ্ব দরবারে প্রমাণ করবে। তিনি মৃত্যুর আগে কারিমের ও ইউজিকে লকেট বাঁচানোর দায়িত্ব দেয়। নানাভাবে দেশিবিদেশি মাফিয়া চক্র ওদের উপর হামলা করে। ইউজি ওর তুখোড় বুদ্ধিতে খুনিদের ধরতে সক্ষম হয়। ওদের অনেক বাঁধা পেরোতে হয়। কিন্তু লকেট চুরি হয়ে যায়। ওরা কি পারবে সঠিকভাবে লকেটটিকে মিউজিয়ামে দিতে? ওরা আরও আবিষ্কার করে যে চক্রটি শুধু একটি দুটি না, অনেক বড় বড় ক্রাইম পরিচালনা করছে। এদিকে ইউজির প্রেমিকাকেও কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তাদেরই একজন। ওদের জাপান থেকে আমেরিকা যেতে হয়। সাথে পিছু নেয় এক বাঙালী মেয়েও। ওর প্রতি কারিমের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ক্ষতি করবে না তো? নাকি ঝরে পড়বে আরও প্রাণ? রক্তাক্ত লকেট বইটি বন্ধুত্ব ও ভালবাসার কাহিনী এবং সাধারণ এক বাঙালির সফলতার গল্প। হৃদয়ভাঙা উপাখ্যান। মার্ডার মিস্ট্রি। ক্রাইম থ্রিলার। সবকিছুর প্যাকেজ একটি বইয়ে।
আয়শা সিনীন খান হিসেবে পরিচিত হলেও পুরো নাম আয়শা বিনতে আসলাম খান, জন্ম ২০০৫ সালের ২৪ জুন। জন্ম ফরিদপুর, বেড়ে ওঠা সৌদি আরব ও ঠাকুরগাঁও এ। পৈতৃক ভিটা মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের রাড়িখাল। থাকছেন ঢাকায়।এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করেছে। ঢাকা সিটি কলেজে ইন্টারমিডিয়েটের প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত। বাবার জ্ঞানপিপাসু মনোভাবের কারণে ছোটবেলা থেকে জ্ঞান অর্জনের দিকে ঝোঁক ছিল প্রবল। শেলফে থাকা তার বইগুলো পড়ার মাধ্যমে মূলত বইপড়ুয়া হয়েছে। বিজ্ঞান, সাধারণ জ্ঞান, ইসলামিক বই থেকে শুরু করে সাহিত্যের প্রায় সব শাখার বইই টুকটাক পড়া হয়েছে তার। ছোট বোনকে নিয়ে ক্লাস ফোর এ থাকতে নিজের হাতে লেখা ম্যাগাজিন বানিয়েছিলেন।লেখার হাতেখড়ি মূলত তখন থেকেই। তবে প্রফেশনাল লেখালেখির জগতে তিন বছর আগে পা ফেলেছেন তিনি। এখন আর্টিকেল ও ব্লগ লিখে, ফাইভারে কন্টেন্ট রাইটিং সেক্টরে পা ফেলেছেন। ২০২৩ এর বইমেলায় গল্পসংকলনে তার একটি গল্প এসেছে। 'রক্তাক্ত লকেট' উপন্যাসটি তার এক স্বপ্নের ফসল। এটি মূলত তারই বানানো একটি সিরিজের অংশ থেকে নিয়েছে সে। ইচ্ছে আছে সিরিজের পরবর্তী বইগুলোও বের করার। সেগুলোতে থাকবে আরও ভিন্ন কিছু। লেখালেখির মাধ্যমে জাতিগত সাম্যবাদ, নারী পুরুষ অধিকার সাম্যতা ছড়াতে চান। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র বিভেদহীন একটি বিশ্ব গড়ে তোলাই তার স্বপ্ন।