শহরের পরিবেশে জন্ম ও বেড়ে ওঠা হলেও লেখকের পিতা-মাতা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সন্দ্বীপের গ্রামীণ জীবন ও পরিবেশে থেকে বিগত শতাব্দির ত্রিশের দশকে নগর জীবনে উঠে এসেছিলেন, যা ছিল অধুনা বাংলাদেশের নগর জীবনে বসবাসকারী নিরানব্বই শতাংশ মানুষের জীবনেরই বাস্তবতা। পিতার সরকারি চাকরির বদলিজনিত কারণে লেখক দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে শৈশব ও কৈশোর কাটিযে়ছেন। বইতে তিনি পরিবার ও নিকটজনদের পরিচয় দিযে়ছেন। পাশাপাশি শৈশব ও কৈশোরে দেখা সমাজ, পারির্পাশ্বিকতা, অভাব, দারিদ্র এবং প্রার্চুযহীন অবিলাসী, নিরাভরণ, সাধারণ ও সরল জীবনাচরণের চিত্র তুলে ধরেছেন। শিকডে়র টানে তিনি পিতৃপুরুষদের জন্মস্থান সন্দ্বীপের গ্রামের বাডি়তে একাধিকবার বেড়াতে গেছেন এবং গ্রামের বাডি়, গ্রাম ও সন্দ্বীপের বিবিধ বিবরণ তুলে ধরেছেন গভীর মমতায়। তিনি নিজের দেখা ইতিহাসের উপজিব্য রাজনীতির বির্বতন এবং বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেছেন বস্তুনিষ্ঠ ও উপভোগ্য ভাষায়। স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালযে়র সহপাঠিদের কথা বলতে গিযে় সমকালীন নগরজীবন, পারির্পাশ্বিকতা ও অনেক ঘটনার রসালো বিবরণ দিযে়ছেন যা কিনা পাঠকের বিনোদনের খোরাক হতে পারে। এটি লেখকের আত্মজীবনী নয়, শৈশব ও কৈশোরের খানিকটা স্মৃতিচারণ মাত্র।নিজ জীবনের বিগত একটি সমযে়র দৃশ্যপটতিনি সময়ান্তরে অনাগত আরেকটি সমযে় তুলনার উপজিব্য করে উপস্থাপন করেছেন।
১৯৫৫ সালে কুমিল্লা শহরে পিতার র্কমস্থলে লেখকের জন্ম। খুলনার সেন্ট জোসেফ’স হাই স্কুল থেকে তিনি ১৯৭২ সালে এস.এস.সি, ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচ.এস.সি অতপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে আইনশাস্ত্রে এলএল.বি (সম্মান) এবং ১৯৮০ সালে এলএল. এম করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বিচারর্কম বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগদান করে জেলা ও দায়রা জজসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। আইন কমিশনের সচিব ও শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও র্ধম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব ও সিনিয়র সচিব পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর তিনি একটি র্ফামাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে আইন উপদেষ্টা পদে কাজ করে আসছিলেন। সালিস ও আর্ন্তজাতিক পরার্মশক হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন। ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি প্রধান র্নিবাচন কমিশনারের পদে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি র্কাযব্যাপদেশে তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। সাহানা আক্তার খানমের সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ লেখকের তিন কন্যা ও তিন নাতি-নাতনি রয়েছে।