“আল-কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট বর্ণনা, মুমিন-মুত্তাকীদের জন্য সঠিক পথের নির্দেশনা ও উপদেশ” (৩: ১৩৮)। এ মহাগ্রন্থে আল্লাহ কোনো কিছুর বর্ণনা বাকি রাখেননি (৬: ৩৮)। তিনি প্রতিটি বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা, সঠিক পথের নির্দেশনা, রহমত ও সুসংবাদ হিসেবে হযরত মুহাম্মাদ সা.-এর নিকট মহাপবিত্র গ্রন্থখানা নাযিল করেছেন (১৬: ৮৯)। এ মহাগ্রন্থের মূল আলোচ্য বিষয় মানুষ। এর সকল বিধি-বিধান, বর্ণনা, উদাহরণ, বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন মানুষকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। তাদের পরিচয় দিয়েছেন, করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশ করেছেন, ধ্বংস ও বিপর্যয় হতে আত্মরক্ষার উপায় বলেছেন এবং তার সম্মান ও অবস্থানের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন। তারা যেন মহান আল্লাহর অশেষ ক্ষমতা ও অসীম দয়া সম্পর্কে নির্ভুল জ্ঞান লাভ করতে সমর্থ হয় এ লক্ষ্যে মানুষের জীবন ও তার চারপাশের জগৎ সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি মানুষের জীবন ও জগৎভিত্তিক এমন সব বক্তব্য তুলে ধরেছেন একুশ শতকে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষের পরম সময়ে এসেও যা সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রামাণ্য ও প্রতিষ্ঠিত যা নিয়ে আলোচ্য ‘আল-কুরআনে জীবন ও জগৎ’ গ্রন্থ। এতে আল-কুরআনে মানুষের জীবন ও জগৎ সম্পর্কে যে বক্তব্য রয়েছে সেগুলোকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বশেষ ধারা ও নতুন বিশ্বব্যবস্থার আলোকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আল-কুরআনের আলোয় জীবন ও মহাবিশ্বকে জানতে আগ্রহীদের জন্য গ্রন্থখানা হতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য সহায়িকা।