বৈশাখের প্রচÐ উত্তাপে তখন পৃথিবী ক্লান্ত। দুপুরের প্রখরতায় শহর পুড়ছে। তখন সড়কে জন-চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। কাজ না থাকলে কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। যাদের হেঁটে বা রিক্সায় অফিসে যেতে হয় তারা সূর্য তেতে ওঠার পূর্বে অফিসে পৌঁছাচ্ছে। অবশ্য সেই ভয়াবহ উত্তাপ-কালে যাদের অফিস, গাড়ি ও বাসায় এসি আছে, তারা সেটা চালিয়ে শীত টেনে আনার চেষ্টা করছে। তবে যাদের সেটা নেই, তারা শরীরের বাড়তি ঘামের খরচ পুষিয়ে নিতে গøাসগøাস পানি খাচ্ছে। এ রকম তাপ-পোড়া এক দুপুরে দামি গাড়িতে ঘুরে মতি ভাইয়ের কাক দেখার ইচ্ছে হলো। কিন্তু কাক-বহুল এই শহরের কোথাও সে কাকের দেখা পাচ্ছে না। এরকম এক দুর্বিসহ উত্তাপময় এক সকালে প্রচÐ ঝড়ের তোড়ে মতি ভাইয়ের ঘুম ভাঙে। কয়েকটি আড়মোড়া কেটে আকাশের অবস্থা দেখার জন্য সে জানালার পর্দা সরায়। আর তখনি তার তলপেট বেশ ভারি মনে হয়। ফলে প্যাকেট থেকে সিগারেট ও লাইটার নিয়ে সে টয়লেটে ঢুকে। সিগারেটের ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া তার পেট পরিষ্কার হয় না। কমোডে বসে সে সিগারেট ধরায়। টান দেয়। ধোঁয়ার কুÐলি পাকিয়ে ছাড়ে। এবার ভেন্টিলেটর দিয়ে আকাশে চোখ ফেলে। সাদা-কালো মেঘের ওড়াউড়ি তাকে সম্ভবত উদাসী করে তোলে। আবার সে সিগারেটে টান দেয়। টয়লেট থেকে বের হয়ে মতি ভাই ড্রইংরুমে গিয়ে বসে। মেড সার্ভেন্ড নাসিমা সেখানে ক্রিসটালের টি-টেবিলের উপর দৈনিক পত্রিকা পেপার ওয়েট দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে। মতি ভাই পত্রিকা হাতে নেই। শিরোনাম দেখে। তারপর আনন্দে তার ভেতর ফুটতে থাকে।