পূর্ব পাকিস্তানের পাইলট টেলিভিশন শুরু হয় ১০ পৌষ ১৩৭১ (২৫ ডিসেম্বর ১৯৬৪)। এর দুই মাস আগে জাপানি এনইসি নিপ্পন কোম্পানির বিশেষজ্ঞদের নেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে টেলিভিশনের ট্রায়াল পর্বে যোগ দিয়েছিলেন গোলাম মুস্তাফা। তখন ১৬ মিলিমিটার রোলেক্স ক্যামেরা অপারেট করতেন পাইলট টেলিভিশনের আইও ক্যামেরাম্যান (ইমেজ অর্থিকন) গোলাম মুস্তাফা, সৈয়দ মাহমুদ আহমেদ ও রফিকুল বারী। গোলাম মুস্তাফা ১৯৮০ সালে টেলিভিশনের ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি (ডিওপি) হন। তিনিই প্রথম এ দেশে এই পদে অধিষ্ঠিত হন। বলে রাখা দরকার, এই টেলিভিশন বিশ্বের প্রাচীনতম বাংলা ভাষার টেলিভিশন। ফলে বাংলাদেশের টেলিভিশনের ইতিহাস লিখতে গেলে গোলাম মুস্তাফাকে স্মরণে নিতে হয়। গোলাম মুস্তফা তখন স্বনামধন্য বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ইউম্যাটিক ফরম্যাটে বিজ্ঞাপন চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বিটিভিতে প্রচার করেছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তখন বিশ্বসাহিত্যের নামকরা সব নাটক প্রচারিত হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রক্তকরবী, শেক্সপিয়ারের টেমিং অব দ্য শ্রু অবলম্বনে মুখরা রমণী বশীকরণ আর মুস্তাফা মনোয়ারের নৃত্যনাট্য আলীবাবা প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। এসব নাটকের ক্যামেরাম্যান গোলাম মুস্তফার খ্যাতি তখন তারকা পর্যায়ে। সহকর্মী সমীর কুশারীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিডিওগ্রাফির চলও শুরু করেন তিনি। এ দেশের এমন অনেক কিছুরই প্রথম গোলাম মুস্তফা।
Shahadat Parvez- খ্যাতিমান আলোকচিত্রী, আলোকচিত্রকলার শিক্ষক ও পরামর্শক। জন্ম ১৯৭৭ সালের ৮ অক্টোবর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভবেরচরে। কিশোর বয়স থেকেই লেখালেখির শুরু। এই সময় ছবি তোলার নেশাও পেয়ে বসে। একসময় মনে হয়, আলোকচিত্রই উপযুক্ত পেশা। পাঠশালাÑদ্য সাউথ এশিয়ান মিডিয়া একাডেমি থেকে ফটোসাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা। প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ চিত্রসাংবাদিক। পেয়েছেন আশাহি সিম্বুন স্বর্ণপদক, এশিয়া প্রেস ফটো স্বর্ণপদক, এশিয়া প্যাসিফিক কালচারাল সেন্টার ফর ইউনেসকো পদকসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরস্কার। কবিতার বই যে ছবি দিয়ে আঁকা প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে, কলেজে পড়ার সময়। ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় ফটো অ্যালবাম শতবর্ষের পথিক। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় গবেষণধর্মী গ্রন্থ শেকড়ের খোঁজে।