একটি সরলরেখার তদন্ত করতে গিয়ে নিজেই ফুল হয়ে যাওয়া কবির কবিতায় ভ্রমরের সন্ধান করে লাভ নাই। ভ্রমরের চোখ-প্রপাতে আজন্ম সঙ্গীতের রাগ বেঁধে নিয়ে অনিয়মকেই নিয়ম করে দূরদর্শী ফাঁদ রচনায় মোক্ষ লাভ করা ভাষাশিল্পী-- আহুতি রাখলো আত্মার রস বিভৎস ক্ষুধার তদন্তে। জমায়েত ঘটিয়ে শোরগোল নয়, নিস্তব্ধ নিখুঁত ভঙ্গিমায় গ্রীবার উত্তাল স্রোত সমেত ভাসিয়ে ভাষাসূত্রের দিকে সূর্যোদয়। অনুসন্ধানী মগজ কেবলই ব্যতিব্যস্ত ফলাফলের গনিতো মনো তদন্তের তাবলীগ না বিষণ্ণ, না শোকাবহ, না উচ্ছ্বসিত, না ম্রিয়মাণও নির্মাণ, বরং এটি একট মিউজিক্যাল রকিং চেয়ার, যেখানে চরিত্রের আসন গ্রহণ মাত্রই পোস্টমর্টেম রিপোট উপস্থিত! সাগর ইসলাম এক্সপেরিমেন্টাল জার্নির ভিতর দিয়ে তৈরি করতে চেয়েছেন সেই যান যা প্রলুব্ধ করে, প্রতারিত করে, আটকে দেয়, বাষ্পীভূত করে চিহ্নের বিনাশ ঘটায়। পরিশেষে আক্ষেপ আক্রান্ত তীরে চরম পুলকের খোলস ছেড়ে ব্যাখ্যাতীত প্রশ্নে খুলে রাখি হুহু কান্না 'দুঃখ করতে করতে মাকে বলি- মা, তোমার চিরুনিতে চুরি হওয়া চুলের সাথে ঈশ্বরও কী উকুন হয়ে পরে গেলো?" পথ ভুলে যাই স্মৃতির অপরাধে নয়, তাবলীগের পথে মনের সব অস্পষ্ট পায়ের নখ হারানো আঁচড়। ফিরে আসি তদন্তে, মনের ভিতর ইজতেমায় খুলে বসি নারী, ক্রমশ খুলে যাই আমি, সে এবং সবাই।