বই পরিচিতি আমাদের তরুণ প্রজন্মের একটি অংশ যেন নতুন করে বড় স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে, আরেকটি অংশ স্বপ্ন দেখতে ভয় পায়। আমি একজন স্বপ্নচারী। তাই আমি নিজে নতুন স্বপ্ন দেখতে এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে ভীষণ পছন্দ করি। যারা নতুন স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে ব্যর্থতার ভয়ে কিংবা হতাশার কারণে, ‘তুমিও পারবে স্বপ্নকে ছুঁতে’ বই তাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে। শুধু নতুন করে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিতই করবে না, স্বপ্নকে ছুঁতে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করবে। বড় স্বপ্ন দেখা ও বড় স্বপ্ন পূরণ নিয়ে বিদ্যমান ধারণা বদলে দিবে। এই বইটি কেবল বড়দের জন্যই নয়, ছোটোরাও পড়তে পারবে। আপনি যদি অভিভাবক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সন্তান বা ভাই-বোনদেরও বইটি উপহার দিতে পারেন। বইটি বড় বড় স্বপ্ন দেখতে ও স্বপ্ন পূরণে পরিশ্রম করতে তাদের অনুপ্রাণিত করবে। বড় স্বপ্ন দেখা নিয়ে তাদের ভয়-ভীতি দূর করে বড় স্বপ্ন দেখতে ও বড় স্বপ্ন ছুঁতে তাদের চিন্তা-জগতকে নতুন করে নাড়া দিবে, নতুন করে ভাবতে খোরাক জোগাবে। উৎসর্গ যে মহান মানুষটি শীতের সকালে নিজে ঠান্ডা ভাত খেয়ে আমাদের গরম ভাত খেতে দিয়েছেন, যে মানুষটির কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে সর্বাবস্থায় ধৈর্য ধারণ করতে হয়, সেই মমতাময়ী মায়ের চরণে। ভূমিকা যারা নতুন নতুন স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করে, যারা তাদের স্বপ্নকে ছুঁতে উদগ্রীব, এই বইটি সেইসব স্বপ্নবাজদের জন্য। তাই, তোমার স্বপ্ন পূরণে তোমার ভূমিকা-ই হোক এ বইয়ের ভূমিকা।
বর্তমান সময়ে ক্যারিয়ার ও চাকরি-প্রত্যাশীদের কাছে ব্যাপক আলোচিত ও তুমুল জনপ্রিয় মুখ গাজী মিজানুর রহমান। যিনি ইতোমধ্যে তাঁর অনুপ্রেরণামূলক কথা ও লেখার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষের বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। তাঁর অনুপ্রেরণামূলক লেখা, কথা ও পরামর্শ দ্বারা তরুণ-তরুণীদের অনেকে আজ ব্যক্তিগত ও ক্যারিয়ার জীবনে বেশ সফল। ফেইসবুকে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০২২ সালে ফেইসবুক কর্তৃক ‘Successful Community Leader’ এর স্বীকৃতি লাভ করেন। গাজী মিজানুর রহমান একাধারে একজন বিসিএস ক্যাডার, পাঠক সমাদৃত বেস্টসেলার লেখক, ইন্সপাইরেশনাল স্পিকার, ক্যারিয়ার কলামিস্ট ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট। তিনি ১৯৯০ সালের ২৫ অক্টোবর কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বর্তমানে তিনি বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার হিসেবে কর্মরত আছেন। ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট হিসেবে পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি চাকরি ও ক্যারিয়ার প্রত্যাশীদের জন্য বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ, জেলা ও বিভাগীয় শহরে ক্যারিয়ারবিষয়ক সেমিনারে আলোচক হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্যারিয়ার ও পড়ালেখা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় এবং ফেইসবুক ও ইউটিউবে তাঁর জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে ক্যারিয়ার বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। দেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে ক্যারিয়ার বিষয়ক সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি দেশের ৬৪ জেলায় উদ্যোগ নিয়েছেন ‘বাংলাদেশ ক্যারিয়ার অলিম্পয়াড’ এর।