হাইকোর্টের বিচারপতি থাকা অবস্থায় বেশকিছু জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি ও রায় প্রদানের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে আলোচিত ও প্রশংসিত হন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান। ২০২০ সালের ১০ মার্চ মহামান্য হাইকোর্ট-এর একটি বেঞ্চ বাঙালির জাতীয় মুক্তির অন্যতম উদ্দীপনা মহান মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে গ্রহণের এক ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেন। এই বেঞ্চে দুজন বিচারপতির একজন ছিলেন বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান। পরে এই রায় অনুসরণ করে ২০২২ সালে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই বইয়ে তাঁকে স্মরণ করে এবং তাঁর কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিসহ অন্য বিচারপতিগণ বেশকিছু মূল্যবান লেখা লিখেছেন। লিখেছেন তাঁর বিচারাঙ্গণের সহকর্মী, সম-মতাদর্শের রাজনীতিক, বন্ধু এবং পারিবারিক স্বজনেরা। এইসব লেখা বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানকে জানতে বুঝতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে। বাংলা, বাঙালি জাতিসত্তা, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে নিরঙ্কুশভাবে আপোসহীন এই ব্যক্তিত্ব পারিবারিক জীবনেও একজন আদর্শ পিতা, আদর্শ সন্তান এবং স্বামী হিসেবে অনুকরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন। বইয়ে সংযোজিত বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান-এর পুত্র তাইম আহসান পান্থর লেখাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। নিরহঙ্কার, সাদামাটা জীবনের প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ এক পিতার প্রতি পুত্রের প্রগাঢ় শ্রদ্ধার স্মারক হিসেবে লেখাটি বিবেচিত হতে পারে। বইয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান প্রদত্ত হাইকোর্টের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য এবং জনগুরুত্বপূর্ণ রায়ের প্রতিলিপি সংযোজিত হয়েছে (যা বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের সহধর্মিনী নিলুফা শামসুননাহার সংগ্রহ করে সরবরাহ করেছেন)। এগুলো যেমন ইতিহাসের উপাদান তেমনি নবীন আইনজীবী ও সংশ্লিষ্টরা এসব রায় দেখে ও পড়ে উপকৃত হতে পারেন। এছাড়া রয়েছে বেশকিছু পারিবারিক ও বিচারাঙ্গণ সংশ্লিষ্ট ছবি।