নয় রাজ্যের রাজারা যখন নিজেদের মাঝে যুদ্ধে লিপ্ত, তখনই সেই ভূমিতে আগমন ঘটে ড্যারন সিয়াসের। লোকে বলে, সে নাকি কোনো এক দেবতা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের প্রতিপালনই যার কাজ। ড্যারন অবশ্য কখনোই নিজেকে দেবতা দাবি করেনি, তবে সে এমন একটি কাজ করেছে যা হাজার বছরেও কেউ করতে পারেনি। একে একে কলহপ্রিয় এই নয়টি রাজ্য জয় করে তৈরি করেছে একটি একক সাম্রাজ্য। কিন্তু ড্যারনের মৃত্যুর পর আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বিদ্রোহ। একে একে স্বাধীন হতে থাকে রাজ্যগুলো। এদিকে বর্তমানে ড্যারন রাজ্যের সিংহাসনে নতুন রাজা বসার সময় ঘনিয়ে এসেছে। আর যখনই আগুনের সিংহাসন নতুন অধিপতি দাবি করে, তখন তার হাত ধরে আসে রক্তপাত, যুদ্ধ আর নৃশংসতা। এই গল্পে আরো উঠে এসেছে তরোয়ার নামক এক প্রাচীন গুপ্ত সংগঠনের কথা, যার নেতৃত্ব দেন প্রাচীন দেবতা খুমাসের প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষ তরোয়ার। এদের একমাত্র লক্ষ্য সিয়াস বংশকে মিশকাওয়াতের বুক থেকে মুছে ফেলা। আরো আছে সাইরাস রাজ্যের কথা, যার ক্ষমতায় আছে ছয়শো বছর ধরে অপরাজিত দ্রিমন বংশ। আরো আছে অসহায় কিশোর অ্যারাইস, হরিয়াল বনের বাসিন্দারা আর এক রাজকুমারের গল্প। বিদ্রোহীদের উত্থান-পতনের পাশাপাশি রহস্যময় এ জায়গায়, রাজকুমারদের ক্ষমতাবদল আর শক্তির উত্থানের সাক্ষী হতে পড়ুন 'রাজকাহন- প্রথম খন্ড'।