কম্পিউটারের সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৯৮৭ সালে। কম্পিউটার ব্যবহার করে বাংলা পত্রিকা আনন্দপত্র প্রকাশের মধ্য দিয়ে ২৭ শে এপ্রিল ৮৭ সেই যে কম্পিউটারের বোতাম ছুয়েছিলাম সেটি এখন জীবনের নেশা, পেশা; সবকিছুতেই পরিণত হয়েছে। ডিজিটাল যুগের সাথে পরিচয়ের সূত্রটাও সেই থেকেই। পত্রিকা প্রকাশ করার জন্য প্রচলিত শীশার হরফকে ডিজিটাল অক্ষরে রূপান্তর করার কাজ করতে গিয়ে অনুভব করি যে কেবল অক্ষর ডিজিটাল করলে চলবেনা, গ্রাফিক্স এবং ভিডিওর পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটাতে হবে ডিজিটাল প্লাটফরমে। একই সাথে ভাবতে থাকি যে ডিজিটাল প্রকাশ মাধ্যমে দক্ষ মানুষ তৈরি করতে না পারলে বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগও নিশ্চিত করা যাবেনা। সেজন্য আমি প্রথমে আনন্দ আইআইটি ও পরে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া নামক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠা করি। এখন ভাবতে অবাক লাগে যে সেই নব্বই দশকে আমি ডিজিটাল শব্দটিকে প্রয়োগ করেছিলাম যা পরবর্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব কাপিয়ে দিয়েছে। এই সময়কালে ডিজিটাল মাধ্যমও দুনিয়া কাপিয়ে দিয়েছে। আমরা নিজেরাও মাল্টিমিডিয়াকে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করছি। আমাদের বিজয় ডিজিটাল শিক্ষার সফটওয়্যারগুলো মাল্টিমিডিয়া প্রয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দিনে দিনে এর আরও প্রসার ঘটবে।
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের কিংবদন্তীতুল্য ব্যক্তিত্ত্ব। একাত্তরের বীর মুক্তিযােদ্ধা জনাব মােস্তাফা জব্বার তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির জন্য পরিচিত হলেও তার কর্মকাণ্ড কেবল এই জগতেই সীমিত নয় । নিজগ্রামসহ দেশব্যাপী শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন । তার মাইলফলক কাজের মাঝে রয়েছে কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রয়ােগ, প্রচলন ও বিকাশের যুগান্তকারী বিপ্লব সাধন করা, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘােষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত মােস্তাফা জব্বারের পৈত্রিক নিবাস নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী থানার কৃষ্ণপুর গ্রামে ।। ১৯৪৯ সালের ১২ আগষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার চর চারতলা গ্রামের নানার বাড়িতে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা আব্দুল জব্বার তালুকদার পাটের ব্যবসায়ী ও সম্পন্ন কৃষক ছিলেন। তাঁর দাদা আলিমুদ্দিন মুন্সি ছিলেন বিশাল ভূসম্পত্তির মালিক যার উপাধি ছিলাে তালুকদার। তার মা রাবেয়া খাতুন সমগ্র জীবন গৃহিনী হিসেবেই জীবন যাপন করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের কম্পিউটার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ টক শাে-এর মাধ্যমে তিনি কম্পিউটার প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে চলেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ বিষয়ের ওপর অনেকগুলাে বইয়ের লেখক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী জনাব মােস্তাফা জব্বার এরই মাঝে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদান রাখা ও বিজয় বাংলা কীবাের্ড ও সফটওয়্যার আবিষ্কার করার জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেরা সফটওয়্যারের পুরস্কার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সােসাইটি আজীবন সম্মাননা পুরস্কার এবং ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন সম্মাননাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন ।। বর্তমানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলি যােগাযােগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।